কেশবপুরে ১১৫ সেচ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মশিয়ার রহমান, কেশবপুর (যশোর)

বোরো আবাদের ভরা মৌসুমে যশোরের কেশবপুর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস ১১৫টি বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। ফলে ওইসব সেচ পাম্পের অধীনে হাজারও কৃষকের ৩ হাজার বিঘা জমির বোরো আবাদ হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়া সেচের আওতায় না আসায় অনাবাদি রয়েছে আরও কয়েকশ’ কৃষকের জমি। এনিয়ে কৃষকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর কেশবপুর জোনাল অফিসের আধীনে গভীর-অগভীর মিলে ১ হাজার ৭৮টি বৈদ্যুতিক সেচ সংযোগ রয়েছে। এসব সেচ সংযোগের আওতায় প্রায় ৫০ হাজার বিঘা জমিতে বোরো আবাদ হয়। যা থেকে প্রতিবছর ১ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়ে থাকে। চলতি বছর দেশব্যাপী খাদ্য ঘাটতির শঙ্কা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেন দেশের কোথাও এক ইঞ্চি জমি ফেলে রাখা যাবে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণাকে উপেক্ষা করে কেশবপুর জোনাল অফিস চলতি বোরো মৌসুমে পর্যায়ক্রমে ১১৫ টি বৈদ্যুতিক সেচ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের সেচপাম্প মালিক নুর ইসলাম মোড়ল বলেন, ৫ বছর আগে বোরো আবাদের লক্ষ্যে তিনি বৈদ্যুতিক সেচপাম্পে সংযোগ পান। চলতি বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে তার সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে কেশবপুর জোনাল অফিস। পরবর্তী সময়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সব শর্তপূরণ করে কেশবপুর জোনাল অফিসে আবেদন করেন। এছাড়া উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএম আরাফাত হোসেন তার আবেদনপত্রে সেচ মৌসুম চলমান থাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া যেতে পারে বলে সুপারিশ করেন। ঘটনাটি এক সপ্তাহ অতিবাহিত হতে চললেও আজও তার সংযোগ দেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, বৈদ্যুতিক সেচ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় কি পরিমাণ জমিতে বোরো আবাদ হচ্ছে না, তার কোনো তথ্য আমার দপ্তরে আসেনি। কেশবপুর জোনাল অফিসের এজিএম কম রফিকুল ইসলাম বলেন, যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর নীতিমালা লংঘন করে সেচ কার্যক্রম চালানোর কারণে অধিকাংশ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। যারা শর্তপূরণ করতে পারছে তাদের সংযোগ দেয়া হচ্ছে।