নিরবচ্ছিন্নভাবেই চলছে বালু উত্তোলন

প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলমগীর সিদ্দিকী, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যত্রতত্র অবৈধভাবে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। নিয়মনীতি ও আইনের তোয়াক্কা না করে সরকারি নদী, খাল ও জলাশয় থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বিশেষ করে পানি উন্নয়ন বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় বা কৃষিজমি ও চিংড়ি ঘের থেকে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ডিজেল ইঞ্জিন ব্যবহার করে স্থানীয়ভাবে তৈরি ড্রেজার মেশিন দিয়ে রাত-দিন নিরবচ্ছিন্ন বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এর ফলে প্রতি বছর ভাঙছে নদীর বাঁধ, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার লাখ লাখ মানুষ। ভেসে যাচ্ছে চিংড়ি ঘের, মরছে গাছগাছালি, গবাদিপশু। বিকট শব্দে স্থানীয় পরিবেশ-প্রতিবেশীর ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। বিরক্ত হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা। শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের খুটিকা এলাকার রাস্তা সংলগ্ন বিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মসজিদের কাছে বিলে ড্রেজার দিয়ে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করতে দেখা যায়। বাইনতলা গ্রামের খোকন মেম্বার এ বালু উত্তোলন করছে বলে এলাকাবাসী জানায়। বাইনতলা এলাকার এক ব্যক্তি জানান, নিকটস্থ ৩ তলা স্কুল ভবনের কাছে থেকে বালু উত্তোলন করায় আমরা আতঙ্কে রয়েছি, কখন যে স্কুলটি দেবে মাটির নিচে চলে যায়।

এই ব্যাপারে সহকারী কমিশনার ভূমি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামনগর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব সাহেবকে জানায় এলাকাবাসী; কিন্তু কোনো আইনগত ব্যবস্থা হয়নি। বালু বিক্রি থেকে প্রাপ্ত টাকার একটা অংশ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দিতে হয় বলে ড্রেজার মালিকদের পক্ষ থেকে জানা গেছে। বালু উত্তোলনকারীরা জানান, প্রশাসনের সবাইকে ম্যানেজ করে আমরা বালু উত্তোলন করি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক বলেন, ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলনের সব থেকে বড় যে ক্ষতি হয় সেটা হচ্ছে প্রাকৃতিক ভূচিত্র নষ্ট হয়ে যায়। ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন বন্ধ না করা গেলে বাংলাদেশের পরিবেশ-প্রতিবেশের ওপর অনেক বড় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আক্তার হোসেন বলেন, বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। অভিযান চালিয়ে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলনকারীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।