হাঁস মুরগি ও কবুতরের খাবার হিসেবে বিটল পোকার জনপ্রিয়তা বাড়ছে

প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো. মোশারফ হোসাইন, নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি

আমরা সাধারণত পোকা-মাকড়কে ভয় পাই। যে কোনো পোকা দেখলেই আমরা তৎক্ষণাৎ মেরে ফেলি। কিন্তু পরিবেশে বিচরণশীল সব পোকাই ক্ষতিকর নয়। অনেক প্রজাতির পোকা আছে, যা বেশ উপকারী। এমন একটি উপকারী পোকা হলো বিটল পোকা। বর্তমানে দেশের সর্বত্রই হাঁস-মুরগি-কবুতরের বিকল্প খাদ্য হিসেবে বিটল পোকা ব্যবহারের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বাজারে প্রচলিত ফিডের দাম তুলনামূলকভাবে বেড়ে যাওয়ায় বিটল পোকার ব্যবহার শুরু করেছেন খামারিরা। এতে করে লাভবান হচ্ছেন দেশের প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারিরা। হাঁস, মুরগি ও কবুতরের প্রচলিত ফিডের তুলনায় বিটল পোকা উচ্চ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি প্রাকৃতিক খাবার। হাঁস, মুরগি ও কবুতরসহ গবাদি পশুর ৬০ থেকে ৭০ ভাগ প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে পারে এই পোকা। তাই এই খাবারটি পোল্ট্রি খামারিদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এর ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন এলাকার চাষিরা এই উপকারী পোকার চাষ শুরু করেছেন। এমন একজন চাষি হলেন শেরপুরের নকলা উপজেলার শাখাওয়াত হোসেন ফারুক। ফারুকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সে যে কৃষি খামারের দেখভালের দায়িত্ব পালন করছেন সেটি মূলত উপজেলার মো. শামীমুজ্জামান মিঠুর নিজস্ব খামার। এই খামারে বিভিন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি দেশি-বিদেশী বিভিন্ন উন্নত জাতের হাঁস, মুরগি ও কবুতর লালন পালন করা হয়। এসব হাঁস, মুরগি ও কবুতরের জন্য প্রচলিত ফিড ব্যবহার করা হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবদুল ওয়াদুদ বলেন, এই পোকা চাষে কোনো ময়লা ও দুর্গন্ধ হয় না। বিটল পোকা উড়তে পারে না, তাই নেটের ভেড়া দেয়ার প্রয়োজন হয় না, নেই কোনো বাড়তি খরচ। এই পোকা হাঁস, মুরগি, কোয়েল পাখি, লাভ বার্ড ও মাছের খাদ্যে প্রোটিনের ৭০ ভাগ চাহিদা পূরণ করে থাকে। যে কোনো শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবনারী অল্প পুঁজি দিয়ে উন্নত জাতের কিছু হাঁস-মুরগি লালন পালন করে এবং বাড়িতে বিটল পোকা চাষ করে তা দিয়েই তার হাঁস-মুরগির খাদ্যের চাহিদা মিটাতে পারেন। একদিকে খরচ কমবে, পক্ষান্তরে উৎপাদন বাড়বে।