ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে রাস্তা তৈরির অভিযোগ

প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  দিপক রায়, তারাগঞ্জ (রংপুর)

রাস্তার জন্য সরকারি জমি থাকার পরেও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি দিয়ে রাস্তা তৈরির অভিযোগ করেছেন রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার এক জমির মালিক। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের খলেয়া নন্দরাম পালপাড়া গ্রামে। সরকারি জমি দিয়ে রাস্তা না করে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি দিয়ে রাস্তা তৈরির অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও তারাগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে সংশোধন চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন জমির মালিক কেশরী মোহন পাল। কেশরী মোহন পালের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ডাঙ্গীরহাট থেকে খিয়ারডাঙ্গা হয়ে কাশিয়াবাড়ি যাওয়ার জন্য রাস্তাটি সম্পূর্ণ সরকারি রাস্তা। রাস্তাটির জন্য সরকারিভাবে নির্দিষ্ট জমিও রয়েছে। ওই রাস্তার কাশিয়াবাড়ি বাজারের পাশর্^বর্তী পালপাড়ায় রাস্তা সংলগ্ন একটি পুকুর থাকায় পুকুরের পার ভেঙে রাস্তাটি সম্পূর্ণভাবে পুকুরে পড়ে যায়। এতে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী লোকজন দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটির অপর পাশের ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি দিয়ে চলাচল করে আসছে। কিন্তু বর্তমানে রাস্তাটি পাকাকরণের কাজ শুরু হওয়ায় নির্দিষ্ট সরকারি জমি দিয়ে তৈরি করা প্রয়োজন। তাই ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি রেখে সরকারি জমি দিয়ে রাস্তা তৈরি করে জমির সংশোধন করার লিখিত আবেদন করেছেন বলে জানান অভিযোগকারী কেশরী মোহন পাল।

অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে চলাচল করে আসা ওই রাস্তাটি বর্তমানে কেশরী মোহন পালের ব্যক্তিগত জমিতে রয়েছে। রাস্তার সরকারি জমি বর্তমানে পুকুরে বিলীন রয়েছে। ওই পুকুরটি কয়েক বছর আগে কেশরী মোহন পাল কিনেছেন। বর্তমানে রাস্তার জন্য নির্দিষ্ট সরকারি জমি দিয়ে রাস্তাটি তৈরি করতে কয়েক লক্ষ টাকা অর্থ ব্যয় করতে হবে সরকারকে। অপরদিকে রাস্তাটি পাকাকরণের কাজ শুরু হওয়ায় রাস্তার সংশোধন চেয়ে আবেদন করেছেন কেশরী। এদিকে রাস্তা পাকাকরণ কাজের ঠিকাদার আবু সামাদ রাস্তাটিতে পুকুরের পার বেধে কাজ শুরু করেন। তবে বর্তমানে জমি সংক্রান্ত সমস্যাজনিত কারণে ওই রাস্তার কাজ বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয়ে তারাগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফরিদা পারভীন বলেন, কেশরী মোহন পাল নামের এক ব্যক্তি রাস্তা সংশোধনের একটি লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন।