বোরো ধান চাষে ব্যস্ত কৃষক

প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো. রাকিবুল হাসান, দুমকি (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় কৃষকরা বোরো ধান চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ জমি চাষ করছে, কেউ বীজতলা প্রস্তুত করতে, আবার কেউ জমিতে রোপা বপণ করছে। কেউ বা রোপা ধানের ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে চলতি বোরো মৌসুমে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বোরো ধানের আবাদ করছে। উপজেলা কৃষি দপ্তরের সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯৫ হেক্টর। এর মধ্যে উফশি বোরো ধান ১৬০ হেক্টর ও হাইব্রিড বোরো ৩৫ হেক্টর। কৃষকরা জমি প্রস্তুত, বীজ বপণ ও পরিচর্যায় জন্য তৎপর রয়েছে।

উপজেলার জলিশা গ্রামের কৃষক তুষার চন্দ্র সিকদার বলেন, আমি এবছরে ২২০ শতাংশ জমিতে ব্রি-৬৭ জাতের বোরো ধান চাষ করেছি। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরমর্শক্রমে ১ মিটার আদর্শ বীজতলা তৈরি করে বীজ বুনেছি, বীজ খুব ভালো হয়েছে। দক্ষিণ শ্রীরামপুর আবাসনের কৃষক ফজলু খান বলেন, এখানে আমি সরকারি ঘর পেয়ে বসবাস করছি। নিজের জমি নাই, অন্যের জমি বর্গা নিয়ে ১ একর জমিতে ব্রি-৭৪ জাতের বোরো ধানের চাষ করতেছি। আঠারো গাছিয়া গ্রামের কৃষক আ: রব সিকদার বলেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরমর্শক্রমে দেড়একর জমিতে ব্রি-৭৪ জাতের উফশি বোরো ধানের চাষ করেছি। রোপা ভালো ধরেছে। এখানে অনেক কৃষক বোরো চাষাবাদে ঝুঁকছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বিনামূল্যে বীজ, সার ও পরামর্শ দিচ্ছেন। উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তপন চন্দ্র হাওলাদার বলেন, আমার দিকনির্দেশনায় জলিশা গ্রামের কৃষক তুষার চন্দ্র সিকদার আদর্শ বীজতলা তৈরি করে ব্রি ধান-৬৭ বীজ বুনেছেন, বীজ ভালো হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মেহের মালিকা বলেন, মাঠ পর্যায়ে বোরো ধান চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। বিনামূল্যে বীজ, সার ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত কৃষকদের জমি প্রস্তুত, রোপা বপণ, ক্ষেতের পরিচর্যার মনিটরিং করছেন। চলতি মৌসুমে বোরো ধান লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চাষাবাদের সম্ভাবনা রয়েছে।