গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ছোট দেওড়া এলাকার লিটন খান লিটুর স্ত্রী রেলক্রসিংয়ের গেইটকিপার ইভা আক্তার। চার বছর আগে রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে তিনি গেইটকিপারের চাকরি পান। শুরুতে তিনি ঈশ্বরদীতে (টি-৩৭) গেটে দায়িত্ব পালন করেন। গেইটকিপারের দায়িত্বে প্রথমে কষ্ট হলেও অভিজ্ঞার পর পুরুষের সমান তালে কাজ করেন ইভা। গত ১০-১২ দিন আগে তিনি বদলী হয়ে জয়দেবপুর-রাজশাহী রেললাইনের গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর (ই-১৬ গেট) রেলক্রসিংয়ে গেইটকিপারের দায়িত্ব পালন করছেন। কাজে অবহেলা না করায় তার দায়িত্ব পালনকালে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। মানুষের নিরাপত্তা সঠিকভাবে দিতে পারলে, তাতে আনন্দ খুঁজে পান ইভা। কর্মদক্ষতায় সফল হলেও তার চোখে-মুখে এখন শুধুই হতাশা। ৭/৮ মাসের বেতন বকেয়া থাকায় সংসার ও মেয়ের লেখাপড়ার খরচ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ইভা। শুধু তাকেই নয়, বেতন বকেয়া পড়ায় হতাশায় ভুগছেন তার মতো প্রায় ১৯শ গেইটকিপার। বাসা ভাড়া, বাজার, ছেলে-মেয়ে লেখাপড়াসহ সংসারের বিভিন্ন খরচ নিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন গেইটকিপাররা। ইভা আক্তার বলেন, কাজকে ভালবাসি বলেই মানুষের নিরাপত্তায় এ কাজ করি। পরিবারও সব সময় আমাকে উৎসাহ দেন। কিন্তু আমরা যে টাকা বেতন পাই, তা দিয়ে সংসার ভালো চলে না। জিনিসের যে দাম বাড়ছে, আমরা কিভাবে চলবো? সরকার আমাদের বেতন-ভাতা আরেকটু বৃদ্ধি করলে আমরা আরেকটু স্বাচ্ছন্দ্যে বাঁচতে পারতাম।