একটি মাত্র ব্রিজের অভাবে বছরের পর বছর শত শত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রিজের অভাবে রামগঞ্জ কলাবাগান, সাতারপাড়া, নন্দনপুর, সোনাপুর, মৌলভী বাজার, কাঠ বাজার এলাকার জনসাধারণ ও রামগঞ্জ মডেল কলেজ, রামগঞ্জ রাব্বানীয়া কামিল মাদ্রাসা, রামগঞ্জ সরকারী কলেজসহ কলাবাগান সড়কের পশ্চিম পাশের স্টেশন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রামগঞ্জ এমইউ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত পোহাতে হচ্ছে মারাত্মক ভোগান্তি।
এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কোনো কাজে যেতে হলে ১ কিলোমিটার দূরত্বের সোনাপুর বা রামগঞ্জ থানা সড়ক দিয়ে ঘুরে যেতে হচ্ছে অথচ ব্রিজটি থাকলে মাত্র কয়েক মিনিটেই যাওয়া যেত। লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে এলাকাবাসী রামগঞ্জ কলাবাগান সড়কের জেলা পরিষদের মালিকানাধীন খালের (বিরেন্দ্র খাল) পূর্ব পাশে জেলা পরিষদের নির্মাণাধীন পরিত্যক্ত ঘাটলার স্থলে ব্রিজ নির্মাণের অনুরোধ করেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় কলাবাগান ব্যাংক সড়কের উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির (বিআরডিবি) মালিকানা জমির পশ্চিম পাশের কলা বাগান মসজিদের দক্ষিণের পরিত্যক্ত ঘাটলা ও আশপাশের এলাকা ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। খালে ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় খালটিতে কোনো পানি নেই। প্রায় ৩০ বছর পূর্বে জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত ঘাটলাটি এলাকাবাসীর কোনো কাজে আসছে না। বেলায়েত হোসেন, মো. বাহার, রাকিব হোসেনসহ বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, কলা বাগান মসজিদ সংলগ্ন ঘাটলাটির স্থলে ব্রিজ নির্মাণ করা হলে উল্লেখিত এলাকার হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হবে। বিভিন্ন সরকারি কাজে, ব্যাংক ও স্কুল-কলেজ এবং মাদ্রাসাসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজে ১ থেকে দেড় কিলোমিটার ঘুর পথে যেতে আমাদের আর্থিক বা শারিরীকভাবে ক্ষতির শিকার হতে হয়। রামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারি বলেন, বিষয়টি আমি অনেক আগে থেকেই জেনেছি। ব্রিজ নির্মাণ হলে এলাকাবাসী উপকৃত হবে।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরা বলেন, এ বিষয়ে আমরা অবগত নই। তবে কেউ লিখিতভাবে জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহাজাহান জানান, ওই স্থানে ব্রিজ নির্মাণে আমরা একটি আবেদন পেয়েছি।