সরকারি গুদামে খাদ্য মজুতের অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেছেন, সরকারি ভাবে দেশে ১০ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুত থাকলে যথেষ্ট। তার বিপরীতে দেশে বর্তমান ২১ লাখ টনের অধিক মজুত আছে, যা স্বাধীনতার পরে সর্বোচ্চ। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় নওগাঁ শহরের আটাপট্টি ও রুবির মোড়ে দুইটি ওএমএস দোকান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী। কোনো ডিলার অনিয়ম করে ওজনে কম, দাম বেশি নেয়া এবং পচা ও নষ্ট আটা-চাল বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কতিপয় ব্যক্তিরা ওএমএস নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার করছে। ডিলাররা পচা চাল বিক্রি করছে এমনকি গরুও সেই চাল খাবে না। কিন্তু তারাই আবার সেই চাল কিনছে। যে চাল মানুষ খেতে পারবে না সেই চাল স্মাগলিং (চোরাচালান) হয় কীভাবে। তারা অপপ্রচার চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাইছে। এজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে এবং যা অব্যহৃত থাকবে। নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট লাঘবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যতদিন মানুষের কাছে চাহিদা থাকবে ততদিন খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রির (ওএমএস) কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এছাড়া আগামী ১ মার্চ থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি শুরু হবে। তবে ওএমএস চলতে থাকবে। এই কর্মসূচিতে সারা দেশে ২ হাজার ৫৫০ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন ১৪ হাজার থেকে সাড়ে ১৪ হাজার মেট্রিকটন চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের যদি চাহিদা বৃদ্ধি পায় তাহলে ডিলারের সংখ্যা বৃদ্ধি করে এই কর্মসূচিকে আরও জোরদার করা হবে।