ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে দীর্ঘ অপেক্ষার পর মিলছে গ্যাস

সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে দীর্ঘ অপেক্ষার পর মিলছে গ্যাস

মৌলভীবাজারে গ্যাসের জন্য চলছে হাহাকার। গ্যাস নিতে সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে পরের দিন ঘুমানোর জন্য গাড়ি চালাতে পারছেন না। গত কয়েক মাস ধরে মাসের শেষ সাপ্তাহ থেকে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। গ্যাস পাম্পের মালিকরা বলেন, অতীতে লিমিট শেষ হওয়ার পরও গ্যাস সরবাহ অব্যাহত থাকত। কিন্তু এখন লিমিট শেষ হলেই বন্ধ হয়ে যায় অধিকাংশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন। এতে জেলা সদর ও আশপাশের উপজেলার ফিলিং স্টেশনগুলোতে অন্তত ৫ থেকে ৬ দিন পর্যন্ত গ্যাস বন্ধ থাকছে। জনগণের এই চরম ভোগান্তি দূরীকরণে নেই কোনো সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগ। জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলা সদর, শ্রীমঙ্গল ও রাজনগরসহ তিনটি উপজেলায় মোট ৯টি পাম্পের মধ্যে মৌলভীবাজার সদরের ২ থেকে ৩টি পাম্পে গ্যাস সরবরাহ চালু থাকলেও পুরো জেলার চাপ মোকাবিলা করতে হচ্ছে পাম্পগুলোকে। তবে মাসের প্রথম দিকে সবগুলো পাম্প পুনরায় চালু হলে ফের শুরু হয় স্বাভাবিক গ্যাস সরবাহ। শ্রীমঙ্গল থেকে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে যাওয়া আসার পথে গতকাল রোববার সকালে দেখা যায়, ঢাকা মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কে অবস্থিত ফিলিংস স্টেশনগুলোর পাশে ২-৩ কিলোমিটারের বেশি এলাকাজুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। চালকরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন গ্যাস নেয়ার জন্য। গ্যাস নিতে অনেকের ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত লেগে যাচ্ছে গ্যাস সংগ্রহ করতে। মো. আনোয়ার হোসেন সিএনজি অটোরিকশা চালক বলেন, গত শুক্রবার রাতে লাইনে দাঁড়িয়ে গত শনিবার সকালে গ্যাস পেয়েছি। সিএনজি অটোরিকশা চালকরা জানান, এমনিতেই সরকারের বেঁধে দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত পাম্পগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত