ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ব্যাংক ঋণে ‘ভোগান্তি’

এনজিওতে ঝুঁকছেন হাওরের কৃষক

এনজিওতে ঝুঁকছেন হাওরের কৃষক

ঋণ নিতে নানা ভোগান্তি এড়াতে ব্যাংকবিমুখ হচ্ছেন সুনামগঞ্জের কৃষকরা। অপেক্ষাকৃত সহজ শর্তে ঋণ পাওয়ায় বেসরকারি সংস্থামুখী (এনজিও) হচ্ছেন তারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে দুই হাজার কৃষককে ২৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যাংক ঋণ দেয়া হয়েছে। তবে এনজিও থেকে নেয়া এ ঋণের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ। কৃষকরা বলছেন, মূলত ভোগান্তি এড়াতেই এনজিওর দিকে ঝুঁকছেন তারা। বোরো মৌসুমে সুনামগঞ্জে ধানের চাষাবাদ শুরু হয়েছে। হাওরের কৃষক আব্দুল মতিন বলেন, বোরো ধান উৎপাদনে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। আমাদের মতো কৃষকদের জন্য সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা আছে কি না জানা নেই। সুনামগঞ্জের হাওর এলাকার কৃষকদের মধ্যে লেখাপড়া জানা ব্যক্তির সংখ্যা কম। জমির কাগজপত্র সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই। ফলে সরকারি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে হাওরপাড়ের কৃষকরা যোগাযোগ করলে তারা কোনো সহযোগিতা পান না বলে অভিযোগ। কখনো কখনো দালালদের খপ্পরে পড়ে চরম বেকায়দায় পড়তে হয় তাদের। বাধ্য হয়ে চড়া সুদে গ্রামের মহাজন ও এনজিওগুলোর কাছ থেকে ঋণ নেন কৃষকরা। যা পরিশোধ করতে উৎপাদিত ফসলের বড় একটা অংশ চলে যায়।

সুনামগঞ্জ কৃষি ব্যাংকের তথ্যমতে, এবছর বোরো ধান উৎপাদনে কৃষকদের ঋণ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৯ কোটি টাকা। এরই মধ্যে দুই হাজার কৃষককে ২৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। বাকি টাকাও পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে। সুনামগঞ্জ কৃষি ব্যাংকের মুখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান শহীর বলেন, আমরা খুব সহজ শর্তে কৃষকদের ঋণ দিয়ে থাকি। কৃষকের ভোটার আইডি, ছবি আর যে জায়গায় সে চাষাবাদ করবে সেই জায়গায় খতিয়ান ব্যাংকে জমা দিলে তিন দিনের ভেতরে আমরা কৃষকদের ঋণ দিয়ে দিই। তবে এর ঠিক উল্টো চিত্র এনজিওগুলোতে। কৃষকরা বলছেন, ব্যাংকের তুলনায় এনজিও থেকে ঋণ পাওয়া সহজ। তবে তাদের সুদের হার বেশি।

তারপরও বিভিন্ন ঝামেলা এড়াতে এসব এনজিও থেকেই ঋণ নেন তারা। সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, কৃষকরা যাতে হয়রানি মুক্ত হয়ে কৃষিঋণ পেতে পারেন সেজন্য আমরা মাঠ পর্যায়ে সভা, সেমিনার করে তাদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত