ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রাজাপুরে ঝুঁকিপূর্ণ মাদ্রাসা

খোলা মাঠে শিক্ষার্থীদের পাঠদান

খোলা মাঠে শিক্ষার্থীদের পাঠদান

ঝালকাঠির রাজাপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ছেড়ে খোলা মাঠের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। উপজেলার শুক্তগড় মাহমুদিয়া দাখিল মাদ্রাসার এমন অবস্থা।

মাদ্রাসা থেকে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে ৭ লাখ ৪৯ হাজার ৪ শত ১০ টাকা ব্যয়ে তিন কক্ষবিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হয়। তিন কক্ষের একটিতে অফিস রুম। আর বাকি দুইটি কক্ষের মাঝে পার্টিশন দিয়ে চারটি ক্লাস বসানো হয়। কাজের মান খারাপ হওয়ায় কয়েক বছর আগে থেকেই ভবনের ছাদ থেকে পানি পরতে শুরু করে। অফিস কক্ষের ভিম ভেঙে পড়ায় সুপারি গাছের খুঁটি দিয়ে ঢেকে বাঁধানো হয়েছে। ভবনের প্রতিটি পিলার ফেটে লোহার রড বের হয়ে গেছে। ভবনের পলেস্তার খসে খসে পরছে। কক্ষের সিলিংসহ ভিম ফেটে রড বের হয়ে গেছে। পলেস্তার পরে অনেক সময় শিক্ষার্থীরা আহতও হয়েছে। এখন যে কোনো সময় ভবন ধসে পরতে পারে, এই ভেবে এখন এর মধ্যে শিক্ষার্থীরা আর বসতে চায় না। তাই দিন দিন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমে যাচ্ছে। মাদ্রাসায় এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের পাশে আর একটি জড়াজীর্ণ কাঠের শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। বর্তমানে এই মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ২৭৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে যারা ক্লাস করত বাধ্য হয়ে তারা এখন খোলা মাঠের মধ্যে পাঠদান নিচ্ছে। ভবনের এমন খারাপ অবস্থা দেখে ১ বছর আগে মৌখিকভাবে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ।

মাদ্রাসার শিক্ষার্থী তহমিনা, ফারিয়া, ফয়সাল, সাদিয়, আল-মাহমুদ জানায়, ক্লাসরুমে প্রায় সিলিং থেকে পলেস্তার খসে পরে আমাদের কয়েকজন সহপাঠী আহত হয়েছে। এখন ঝুঁকিপূর্ণ ওই ক্লাসরুমে ঢুকতে ভয় হয়।

মাদ্রাসার শিক্ষার্থী অভিভাবক আব্দুল ওয়াহেদ তালুকদার, মো. রুবেল হাওলাদার, মো. ছাইদুল সিকদার, মো. খলিলুর রহমান মোল্লা জানায়, বর্তমানে মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষের যে অবস্থা তাতে ছেলেমেয়েদের মাদ্রাসায় পাঠাতে দিন দিন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি। কারণ, বাচ্চাদের মাদ্রাসায় পাঠিয়ে সারা দিন আতঙ্কে থাকতে হয়।

মাদ্রাসা সুপার মাওলানা মাহবুবুর রহমান বলেন, ভবনের এ অবস্থায় বর্তমানে খোলা মাঠে ক্লাস করাতে হচ্ছে। কিন্তু রোদে বসে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে চায় না। এখন দিনে দিনে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। সামনে আবার বর্ষাকাল আসছে, তখন শিক্ষার্থীদের কোথায় বসাব জানি না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত