দুই জেলায় দুইজন খুন

প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

সিরাজগঞ্জে নেতার মারপিটে আহত কৃষকের মৃত্যু এবং গতকাল সোমবার নোয়াখালীতে সিএনজিচালককে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

সিরাজগঞ্জ : উল্লাপাড়া উপজেলার গোনাইগাঁতী গ্রামে প্রভাবশালী নেতার মারপিটে আহত কৃষক আমিরুল ইসলাম মারা গেছেন। ঢাকার একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। উল্লাপাড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এনামুল হক আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, ওই গ্রামে ইরি বোরো চাষাবাদের জমিতে সেচ পাম্পের বোরিং নিয়ে কয়েকজন কৃষকের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে শালিশী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠক পরিচালনা করেন স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হাই। ওই নেতার কাছে ক্ষতিপূরণের কিছু টাকা জমা ছিল। বৈঠকে আমিরুল ইসলামসহ অনেকেই কথা বলেন। এক পর্যায়ে এ বৈঠকে পক্ষে বিপক্ষে কথা বলা নিয়ে উত্তেজানর সৃষ্টি হয়। এরই জেরে গত রোববার আমিরুল বাড়ি ফেরার পথে ওই আওয়ামী লীগ নেতাসহ তার লোকজন তার ওপর হামলা চালিয়ে বেদম মারধর করে তাকে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়। পরে তারা একটি দোকানে হামলা চালিয়ে কাজল প্রামাণিক ও নাহিদ হোসেনকে আহত করা হয়। স্থানীয়রা তাদের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আমিরুলকে ঢাকার একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে। উল্লাপাড়া উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন জিকো বলেন, ওই নেতা ও কৃষক সম্পর্কে চাচাতো ভাই।

নোয়াখালী : সদর উপজেলা থেকে পুলিশ এক সিএনজিচালকের গলাকাটা বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত মো. আব্দুল হাকিম উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের মো. ইব্রাহীম ওরফে রাজা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন সিএনজিচালক ছিল।

চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। তার পরিবার জানায়, গত রোববার হাকিমের সাথে সর্বশেষ তাদের কথা হয়। এরপর থেকে হঠাৎ তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সুধারাম থানার কর্মকর্তা ওসি মো. আনোয়ারুল ইসলাস বলেন, হাকিমকে জবাই করে হত্যা করা হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।