ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অবহেলায় পড়ে আছে ওয়ার্চ টাওয়ার

অবহেলায় পড়ে আছে ওয়ার্চ টাওয়ার

সাতক্ষীরা আকার্ষণ সড়ক পথে সুন্দরবন। শ্যামনগর থেকে সুন্দরবনকে অনেক কাছ থেকে উপভোগ করা যায়। পায়ে হেঁটে অথবা রাস্তায় বসে সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। পর্যটকদের আকর্ষণীয় করে তুলতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০১৬ সালে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ চুনা নদীর তিন মোহনায় ১৯ একর জমি নিয়ে তৈরি করা হয় আকাশলীনা ইকোটুরিজম সেন্টার। পর্যটকদের মনোরম করে তুলতে আকাশলীনাকে সাজানো হয়েছে ভিন্নরূপে। তার মধ্যে ওয়ার্চ টাওয়ার অন্যতম। আকাশলীনা তৈরির দেড় বছর পর ২০১৭ সালে জেলা পরিষদের উদ্যোগে নির্মাণকাজ শুরু হয় ওয়াচ টাওয়ারের। প্রথমে ১০ লাখ টাকার বাজেট নিয়ে কাজটি শুরু করলেও পরে আরো ১৫ লাখ টাকা সংযোজন হয়। এরপরও ৬ বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ভ্রমণপিপাষু পর্যটক উঠতে পারিনি ওয়ার্চ টাওয়ারে। উপভোগ করতে পারিনি উপর থেকে সুন্দরবনকে দেখা। ওয়ার্চ টাওয়ারে উঠার জন্য ২০১৯ সালে ১০ লাখ টাকা ব্যয় করে ট্রেল নির্মাণ করে আকাশলীনা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ না করার কারণে ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বারে উঠার পথটি চুনা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। তারপর থেকে আর ওয়ার্চ টাওয়ারে উঠার কোনো ব্যবস্থা করতে পারিনি। যশোর থেকে ঘুরতে আসা পরিবহণ মালিক সমিতির নেতা সেলিম বলেন, ওয়ার্চ টাওয়ারের উপরে উঠতে পারলে সুন্দরবনের গভীরতাটা দেখা যেত। ঢাকা থেকে আসা কামরুজ্জামান বলেন, ওয়াচ টাওয়ারে চড়ে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারলে ভ্রমণটা পরিপূর্ণতা পেত। সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য ডালিম ঘরমী বলেন, আমাদের যে বাজেট ছিল সে অনুযায়ী কাজ শেষ করা হয়েছে। এখন যদি উঠার কোনো পথ না থাকে তাহলে আমরা কী করব। আকাশলীনার দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন বলেন, আমরা খুব তাড়াতাড়ি ওয়ার্চ টাওয়ারে উঠার ব্যবস্থা করব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত