ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পদ্মা-মেঘনা

দুই মাস মাছ আহরণ নিষিদ্ধ

দুই মাস মাছ আহরণ নিষিদ্ধ

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশের পোনা জাটকাসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ। এ সময়ে জেলার ৪৪ হাজারের অধিক জেলে বেকার হয়ে পড়বে। তবে জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকা নিবন্ধিত জেলেদেরকে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল ৪ মাস খাদ্য সহায়তা হিসেবে ৪০ কেজি করে চাল দিবে। জাতীয় সম্পদ ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স সচেতনামূলক প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে।

মৎস্য বিভাগ জানায়, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় চাঁদপুর, শরীয়তপুর, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল ভোলার পদ্মা-মেঘনাসহ দেশের ৬টি নদী অঞ্চলে মার্চ-এপ্রিল অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় সব ধরনের জাল দিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। আজ বুধবার থেকে অভয়াশ্রম কার্যক্রম শুরু হবে।

তরপুরচন্ডী আনন্দ বাজার এলাকার জেলে নুর উদ্দিন জানান, সরকার নদীতে অভিযান দিলে মাছ ধরতে নদীতে নামেন না। কিন্তু জেলার বাইরে থেকে অন্য জেলেরা এসে জাটকা ধরে নিয়ে যায়। এই কাজটি নিয়ন্ত্রণ করার দাবি জানান তিনি।

চাঁদপুর কান্ট্রি ফিশিং বোট মালিক সমিতির সভাপতি শাহ আলম মল্লিক জানান, আমরা আড়ৎদার ও বিভিন্ন এনজি থেকে লোন নিয়ে জাল নৌকা মেরামত, অংশীদার জেলেদের অগ্রিম টাকা দিয়ে থাকি। এছাড়া অনেক অংশীদার জেলে সাংসারিক প্রয়োজনে লোন নিয়ে থাকে। অভয়াশ্রমের সময় কিস্তির টাকা পরিশোধে তারা চরম বেকায়দায় পড়ে। এছাড়া বরাদ্দ না আসায় জেলার ৪ হাজার নিবন্ধিত জেলে চাল পায়নি। তিনি চাল সহায়তা বঞ্চিত নিবন্ধিত ৪ হাজার জেলের জন্য দ্রুত চাল সহায়তার প্রদানের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান। পাশাপাশি অভয়াশ্রমের সময় কিস্তি আদায় বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা টাস্কফোর্সের সভাপতি ও জেলা প্রশাকের নিকট দাবি জানান।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, মেঘনার ৭০ কিলোমিটার নদী অঞ্চলে অভয়াশ্রমে কার্যক্রম বাস্তবায়নে জেলা টাস্কফোর্সের প্রয়োনীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আমাদের জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌ-বাহিনী ও মৎস্য বিভাগ দুই মাস নিয়মিত নদীতে অভিযান পরিচালনা করবে। আশা করি, জেলেরা জাটকা নিজেদের সম্পদ বিবেচনা করে আহরণ থেকে বিরত থাকবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত