ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

১৭ বছর পর বাবা মেয়ের দেখা

১৭ বছর পর বাবা মেয়ের দেখা

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুণ গ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীন যতিন্দ্রনাথ। ২০০৬ সালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফিরেননি। পরিবারের সদস্যরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও পায়নি। কিন্তু হারিয়ে যাওয়ার ১৭ বছর পর তাকে ফিরে পেয়েছে আবেগে আল্পুত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সহযোগিতায় বাবাকে ফিরে পেলেন ধামইরহাট উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মেয়ে সাবিনা এক্কা। গত সোমবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ১৬৪ (বিএসএফ) আওতাধীন ডাংগী বিএসএফ ক্যাম্প পত্নীতলা ব্যাটালিয়ন (১৪ বিজিবি) সীমান্ত পিলার ২৬০/৭-এস এর নিকট হস্তান্তর করেন। গতকাল মঙ্গলবার পত্নীতলা ব্যাটালিয়ন (১৪ বিজিবি) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়। সাবিনা লোক মারফত জানতে পারেন তার বাবা ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট থানার রায়নগর গ্রামের মন্দিরে অবস্থান করছে। এরপর পত্নীতলা ব্যাটালিয়ন (১৪ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. হামিদ উদ্দিনের কাছে বাবাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে সহযোগিতা কামনা করেন।

মো. হামিদ উদ্দিন বলেন, বিষয়টি জানার পর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ১৬৪ (বিএসএফ) আওতাধীন ডাংগী বিএসএফ ক্যাম্পকে অবগত করা হয়। তারাও মানসিক ভারসাম্যহীন যতীন্দ্রনাথকে ফিরিয়ে দিতে আশ্বস্ত করেন।

সাবিনা এক্কা বলেন, তার বড় বোন মিন্না এক্কা ২০০১ সালে হঠাৎ করেই অসুস্থ হলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর বাবা ও মা খিরতি রানী শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। ২০০৬ সালের একদিন কাউকে কিছু না বলেই প্যান্ট-শার্ট পরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফিরে আসেননি। সাবিনা আরো বলেন, আমার স্বামী নারায়ণচন্দ্র তার চিকিৎসার জন্য ৪-৫ মাস পর পর ভারতে যায়। চিকিৎসা শেষে যতটুকু সময় পাই বিভিন্ন এলাকা ও মন্দিরে খোঁজখবর নেই এবং মানুষদের ছবি দেখাই। এক সময় বাবার ছবি দেখে স্থানীয়দের একজন চিনতে পারেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত