আজ থেকে শুরু তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা

প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  দিনাজপুর প্রতিনিধি

আজ বৃহস্পতিবার থেকে দিনাজপুরে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী তাবলিগ জামাতের জেলা ইজতেমা। আগামী ৪ মার্চ আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে এই ইজতেমা শেষ হবে। দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ ময়দানে (বড়মাঠ) পুলিশ কার্যালয়ের সামনে এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য প্যান্ডেল তৈরির কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। তাবলিগ জামাতের সাথীরা স্বেচ্ছাশ্রমে ইজতেমার প্যান্ডেল তৈরিসহ অন্যান্য সব কাজ করছেন। ১৩ উপজেলা, পাশের ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, রংপুর, গাইবান্ধাসহ অন্যান্য জেলা-উপজেলা হতে আগত তাবলিগ জামাতের সাথীদের নিয়ে এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার ইজতেমা প্যান্ডেলেই জুমার নামাজ আদায় করা হবে। এটি জেলার সর্ববৃহৎ জুমার নামাজের জামাত হবে বলে জানিয়েছেন তাবলিগ জামাতের কয়েকজন মুরব্বি। ইজতেমায় মালয়েশিয়া হতে আগত একটি জামাত অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে।

দিনাজপুর তাবলিগ জামাতের আমীরে ফায়সাল ও তিন দিনব্যাপী ইজতেমার জিম্মাদার (দায়িত্বশীল) হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কৃষি রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আব্দুল হাকিম জানান, ইজমেতায় বাংলাদেশের আমীরে ফায়সাল ঢাকার কাকরাইলের জিম্মাদার (দায়িত্বশীল) মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, মুফতি মাওলানা নুরুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন জিম্মাদার (দায়িত্বশীল) দিনাজপুরের ইজমেতায় আসবেন। এছাড়া মালয়েশিয়ার একটি জামাতও এরই মধ্যে দিনাজপুরে অবস্থান করছেন। তিনি জানান, এই মেহমানরা ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সামনে বয়ান পেশ করবেন। শনিবার বেলা ১২টার মধ্যে আখেরি মুনাজাতের মাধ্যমে ৩ দিনব্যাপী এই ইজতেমা শেষ হবে।

এদিকে ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য এরই মধ্যে অজু-গোসলের পানি সরবরাহের জন্য ২০টি টিউবওয়েল, একটি সাবমারসেবল পাম্প, তিনটি মটর স্থাপন করা হবে। লাইটিংয়ের জন্য বৈদ্যুতিক জেনারেটর বসানো হবে। এছাড়া নিরাপদ স্যানিটেশনের জন্য দুই শতাধিক টয়লেট তৈরা করা হয়েছে। বিদেশি মেহনান ও তাবলিগ জামাতের বৃদ্ধ সাথীদের জন্য মাঠের দক্ষিণ পাশে খাস কামরা (বিশেষ কক্ষ) তৈরি করা হয়েছে। এই খাস কামরায় আগত বিদেশি মেহমান ও তাবলিগ জামাতের বৃদ্ধ সাথীরা থাকবেন বলে তাবলিগ জামাতের জিম্মাদাররা (দায়িত্বশীল) জানিয়েছেন। ইজতেমায় প্যান্ডেল তৈরি, টয়লেট নির্মাণ, নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য টিউবঅয়েল স্থাপন, বিদ্যুৎ সংযোগসহ অন্যান্য বিভাগের জন্য আলাদা আলাদা জিম্মাদার (দায়িত্বশীল) নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। আর এসব স্থাপনের সব ধরনের খরচ তাবলিগ জামাতের সার্থীরা নিজ উদ্যোগে করবেন। কারো নিকট থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা নেয়া হয়নি। তবে কেউ কেউ স্বেচ্ছায় আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছেন। একমাত্র আল্লাহকে রাজি-খুশি ও সওয়াবের আশায় সবাই অনেকেই স্বেচ্ছায় এসব কাজ করেছেন তাবলিগ জামাতের সাথীরা। এদিকে ইজতেমা উপলক্ষ্যে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইজতেমা মাঠে অবস্থানের জন্য আগত মুসল্লিদের জন্য চাটাইসহ অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে ইজতেমা মাঠের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে দোকানিরা তাদের দোকান নিয়ে বসবেন।