ভেজাল সারে সয়লাব বাজার

প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলমগীর সিদ্দিকী, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বিভিন্ন হাট-বাজারের দোকানগুলোতে ভেজাল সার ও কীটনাশক বিক্রি হচ্ছে অবাধে। দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এ ভেজাল রোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে চলতি মৌসুমের ইরি-বোরো আবাদের কাঙ্ক্ষিত ফসল উৎপাদনে আশঙ্কা দেখা দেবে ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ কৃষক।

জানা যায়, বিভিন্ন দোকানগুলোতে নিম্নমানের ভেজাল সার এবং নামি ও বেনামি কোম্পানির কীটনাশক বিক্রি করছে। ধানক্ষেতের আগাছা, ক্ষতিকর পোকামাকড় দমনে, বাড়তি ফলনের আশায় কম দাম ও নজরকাড়া মোড়ক দেখে এসব কীটনাশক কিনে প্রতারিত হচ্ছেন প্রান্তিক কৃষকরা। শুধু তাই নয়, সারের নতুন বস্তা খুললে দেখা মিলে সারে মিশ্রিত পাথরের গুঁড়ো ও নড়ি বালু। এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। উপজেলার সহিদুল নামে এক কৃষক জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারি শ্যামনগর গোডাউন এক সারের দোকান থেকে একবস্তা টিএসপি সার ক্রয় করেন। পরে জমিতে সার প্রয়োগ করার আগে বস্তা খুলে দেখেন সারের সঙ্গে বেশিরভাগই মিশ্রিত রয়েছে নুড়ি বালু ও পাথরের গুঁড়ার মতো দানা। সার দোকানি বলেন, কোম্পানিকে সার ফেরত দেব, যদি কোম্পানি পরিবর্তন করে দেয় তাহলে সহিদুল সার পাবে, নয় তো আমার কিছু করার নেই। আরেক কৃষক জানে তপন কুমার জানান, ইরি ক্ষেতে আগাছা ও পোকামাকড় দমনে সিনজেনটা নামক ওষুধ দিয়েছি কোনো কাজ হয়নি, ওল্টো ধানগাছের পাতা সাদা হয়ে গেছে। কাশিমাড়ী গ্রামের এক কৃষক জানান, মাত্রাতিরিক্ত সার প্রয়োগ করেও ফসলের উন্নতি হচ্ছে না, টিএসপি সারটা ছিল চাকা বান্ধা, আর আমি দোকানিদের থেকে প্রায় বাকিবাবদ সার ক্রয় করি, দোকানি যে পরামর্শ দেন সে পরামর্শে শুনে প্রতারণায় শিকার হচ্ছি। এদিকে একাধিক সার ব্যবসায়ী জানান, কীটনাশক কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা বলে ওষুধে কাজ না হলে টাকা ফেরত। এ বিশ্বাস করে আমরা কৃষকদের কাছে ওষুধ বিক্রি করি। শ্যামনগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এনামুল ইসলাম বলেন, আমরা বাজারের সার সংগ্রহ করে পরিক্ষাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভেজাল মিশ্রিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।