ক্লাস বর্জন করে কোম্পানীগঞ্জের ভিভিটিসি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মানিক ভূঁইয়া নোয়াখালী

চার দফা দাবিতে ক্লাস বর্জন করে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের ভিভিটিসি টেকনিক্যাল স্কুলের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সব ধরনের ক্লাস বর্জন করে স্কুলের গেইটে ও সুপারিনটেনডেন্টের কক্ষের সামনে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো- স্কুলের সুপারিনটেনডেন্টের দুর্নীতির বিচার ও পদত্যাগ, শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণের বিচার, স্কুলে এমপিও কার্যক্রম চালু করা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্কুলের ৮ জন শিক্ষক ও ২ জন কর্মচারী গত বছরের ১৩ নভেম্বর অধ্যক্ষ মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, পাবলিক পরীক্ষা থেকে উদ্ধৃত টাকা স্কুলের ব্যাংক হিসাবে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করে সুপারিনটেনডেন্ট শাহজাহান। সুপারিনটেনডেন্ট স্কুলে আইসিটি শিক্ষক পদে সনদ না থাকা সত্ত্বেও তার ভাই আইয়ুব আলীকে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিয়োগ দেয় এবং আপন শ্যালক ফিরোজ আলম শিবলুকে ট্রেড ইন্সট্রাক্টর (ইলেট্রিক্যাল) পদে নিয়োগ দেয়। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিংয়ের নামে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়। শিক্ষকদের সঙ্গে সব সময় শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, এ স্কুলে পড়তে বছরে ১০ হজার টাকা দিতে হয়। আমাদের স্কুল ২০১৯ সালে এমপিওভুক্ত হলেও অদৃশ্য কারণে এখনো এমপিও কার্যক্রম চালু করা হয়নি। অধ্যক্ষ এবং তার ভাই স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। তারা স্কুলে পরিবারতন্ত্র গড়ে তুলেছেন। আমরা দ্রুত এ সুপারিনটেনডেন্টের দুর্নীতির বিচার ও পদত্যাগ এবং শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার খরচ কমানোর দাবি করছি। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ভিভিটিসি টেকনিক্যাল স্কুলের সুপারিনটেনডেন্ট মো. শাহজাহান বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডেকেছেন, সেখানে কথা বলব। আমি অসুস্থ, এ বিষয়ে পরে সরাসরি কথা বলব। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরে গেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের আলোকে সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেয়া হবে।