রমজান উপলক্ষ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে ভোগ্যপণ্যের আমদানি

রমজান মাসকে সামনে রেখে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে ভোগ্যপণ্যের আমদানি। ছোলাসহ আসছে বিভিন্ন ধরনের ফল। আমদানি স্বাভাবিক থাকলে আগামী দুই মাসের মধ্যে ভোগ্যপণ্যের দাম অনেকটা কমে আসার সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা। গত তিন দিনে ৩২০ ট্রাক ভোগ্যপণ্য ও ফল আমদানি হয়েছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। ঋণপত্র খোলার জটিলতা নিরসন হওয়ার পরপরই ছোলা আমদানি শুরু হয়েছে। বাজারদর স্বাভাবিক রাখতে এলসি সহজের বিষয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে আগেই নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এ কারণে আমদানি করা খাদ্যদ্রব্যের দাম সহনীয় থাকার আশা ব্যবসায়ীদের।

সাধারণ ক্রেতারা জানান, বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের আমদানি বেড়ে যাওয়ায় বাজারে এর দাম কমতে শুরু করেছে। ছোলাসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্য আমদানির এই ধারাবাহিকতা ঠিক থাকলে বাজারে আর দাম বাড়বে না। রমজান এলেই নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। এ জন্য দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোজায় বাজার মনিটরিং জোরদার করার দাবি করেন।

বাংলাদেশ ও ভারত চেম্বার অব কমার্সের উপ-কমিটির সভাপতি মতিয়ার রহমান বলেন, এবার ভারতে ছোলার উৎপাদন ভালো হয়েছে। ভারতে ছোলার দাম অনেক কম। সেই কারণে আমদানি করা ছোলার দাম আমাদের বাজারেও কম। রমজান মাসকে সামনে রেখে আমদানিকারকরা আগের চেয়ে খাদ্যপণ্যের আমদানি বাড়িয়েছেন। ছোলাসহ অন্যান্য ভোগ্যপণ্য আমদানির এ গতি পুরো মার্চ মাসে অব্যাহত থাকবে।

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, সামনে রমজান মাস। রমজান মাসকে কেন্দ্র করে সামনে রেখে ছোলাসহ ভোগ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে। এ সমস্ত ভোগ্যপণ্য যাতে বন্দর থেকে দ্রুত ডেলিভারি দেয়া যায় সে জন্য বন্দরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বছরে বাংলাদেশে এক লাখ ২০ হাজার টন ছোলার চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে শুধু রমজান মাসেই ইফতারের জন্য ৮০ হাজার টন ছোলার প্রয়োজন হয়।