লালমনিরহাটে ‘কেশড়ে সৃজনে মুক্তি’ স্লোগানে আজ বৃহস্পতিবার থেকে ৩ দিনব্যাপী শুরু হচ্ছে লালমনি লোক উৎসব। এ উপলক্ষ্যে গত মঙ্গলবার শহরের ফায়ার সার্ভিস রোড বাবুপাড়া এলাকায় এমটি হোসেন ইনস্টিটিউটে লোকসংস্কৃতি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রের আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে লোকসংস্কৃতি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রের আহ্বায়ক সূফী মোহাম্মদ বলেন, একটি দেশ বা একটি জাতির আত্মপরিচয় তার লোকসংস্কৃতি। কৃষিপ্রধান এই বাংলাদেশের কৃষি ও শ্রমজীবী সাধারণ মানুষকে কেন্দ্র করেই উদ্ভব হয়েছে লোকসংস্কৃতির। বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতি এদেশের মূল সংস্কৃতির ভিত্তি। তাই বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক আগ্রাসন রোধে দেশজ সংস্কৃতির বিকাশ, দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষা ও সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। ১৯৫২ সালে মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল সাংস্কৃতিক আন্দোলন। এ দেশের ছাত্র-শিক্ষক, কবি-সাহিত্যিক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ সর্বোপরি আপামর জনসাধারণ বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বাংলাদেশ নামের একটি রাষ্ট্রের জন্ম দেয়। পৃথিবীর বুকে লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে অপ্রতিরোধ্য বাঙালি ঠিক করে নেয় তার সাংস্কৃতিক আত্মপরিচয়। তাই, আগামী প্রজন্মের মাঝে লোকচর্চার সুদূরপ্রসারী ব্যবস্থা নিতে রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট জেলা সদরে আমরা লোকসংস্কৃতি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। উত্তরবঙ্গের লোকসমাজের দৈনন্দিন জীবনধারণের বস্তুগত লোকসংস্কৃতি, মানসজাত লোকসংস্কৃতি, অনুষ্ঠানজাত লোকসংস্কৃতি এবং প্রার্থনামূলক লোকসংস্কৃতি বিষয়ে চর্চাবৃদ্ধি, গবেষণা, উন্নয়ন ও সংরক্ষণের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক জাগরণ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন এবং সংস্কৃতিবান প্রজন্ম গড়ে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন লালমনি লোকউৎসব উদযাপন পর্ষদের সদস্য সচিব মুনীম হোসেন খন্দকার প্রতীক, সদস্য শামীম আহমেদ, উৎসব উপ-কমিটির আহ্বায়ক মো. মাসুদ রানা রাশেদ, সদস্য সচিব মো. হেলাল হোসেন কবির।