জলাবদ্ধতা নিরসনে চলছে কচুরিপানা অপসারণ

প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মশিয়ার রহমান, কেশবপুর (যশোর)

যশোরের কেশবপুরে জলাবদ্ধতা নিরসন করতে কাটাখালি স্লুইস গেটের দু’পাশের খাল থেকে কচুরিপানা অপসারণ শুরু হয়েছে। কাটাখালি খালে কচুরিপানা জমে থাকায় পানি প্রবাহে বাধাগ্রস্ত হয়ে উপজেলার প্রায় ১ হাজার ৩৫ হেক্টর জমি জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে। এর ফলে কৃষকরা ফসলাদি উৎপাদনে ব্যর্থ হচ্ছিলেন। এছাড়া আগামী বর্ষা মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম জলাবদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা করছিল এলাকাবাসী। এ কারণে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জলাবদ্ধতা নিরসন করতে ওই কচুরিপানা অপসারণ করা হচ্ছে। জানা গেছে, উপজেলার বাগডাঙ্গা, কালিচরণপুর, সানতলা, ময়নাপুর, মনোহরনগরসহ অন্তত ১০টি গ্রামের কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকরা ধান আবাদসহ বিভিন্ন ফসলাদি উৎপাদন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। কাটাখালি স্লুইস গেটের দু’পাশের খালে কচুরিপানা জমে থাকায় পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য কাটাখালি স্লুইস গেটের উভয় পাশের খাল থেকে কচুরিপানা অপসারণের কাজ শুরু করা হয়েছে। কচুরিপানা অপসারণ শুরু করায় এলাকার জমি থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের কৃষক পরেশ মণ্ডল বলেন, কচুরিপানা অপসারণ শুরু হওয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে। এভাবে পানি কমে গেলে কৃষকরা এবার ধান আবাদ করতে না পারলেও জমির উঁচু বেরিতে সবজি চাষ করে কিছুটা টিকে থাকতে পারবে।

উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুনজুর রহমান বলেন, কাটাখালি গেটের দু’পাশের খাল থেকে শ্রমিকদের মাধ্যমে কচুরিপানা অপসারণ কাজ চলায় পানি সরতে শুরু করেছে। এলাকায় কৃষকের জমির উঁচু আইল (বেড়ি) জেগে উঠেছে। কৃষকরা ওই সমস্ত বেরিতে বিভিন্ন সবজি চাষ করতে পারবেন।