সৈয়দপুরে পাথর ছাড়া রেলপথ ঝুঁকিতে চলছে ট্রেন

প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে উত্তর ও দক্ষিণ পাশে রেললাইনের ৫০০ গজের মধ্যে পাথর যেন চোখেই পড়ে না। কোনো কোনো স্থানে রেললাইনের নিচে দেয়া কাঠের বা লোহার স্লিপারও নেই।

ফলে ওই স্থানের মাটি সরে গিয়ে ট্রেনযাত্রা হয়ে উঠেছে বিপজ্জনক। এছাড়া লুপলাইনগুলো মালবাহী ট্রেন অনুপযোগী হয়ে পড়ায় চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুটে ভারত থেকে পাথরসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে। এতে করে সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। রেলওয়ের সৈয়দপুর প্রকৌশল (পথ) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর-চিলাহাটি রেলপথের মোট ৫৪ কিলোমিটার সৈয়দপুর প্রকৌশল বিভাগের অধীনে আছে। এর মধ্যে সৈয়দপুর অংশের ৭ কিলোমিটারের ৫০০ গজ লাইন জরাজীর্ণ। এ রেলপথেই বছরের পর বছর ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন। সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহী রুটে নিয়মিত পাঁচটি আন্তঃনগর ও একটি মেইল ট্রেন চলাচল করে। স্টেশন সংলগ্ন রেলক্রসিং থেকে দক্ষিণে হাতিখানা রেলওয়ে ব্রিজ ও উত্তরে গোলাহাট কবরস্থান রেলওয়ে ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার রেল সড়কে নামমাত্র পাথর আছে। নাট-বল্টু বা হুক ও স্লিপার মাটিতে ঢেকে গেছে। লুপলাইনগুলোর চিত্র আরও ভয়াবহ। কাঠের স্লিপারগুলোর অবস্থাও বেশ নাজুক। কোথাও কোথাও সেগুলোতে ধরেছে পচন। স্লিপার আটকানোর ক্লিপ উধাও হয়ে গেছে। অনেক জায়গায় নাট-বল্টু কিংবা রেললাইনেরই অস্তিত্ব নেই। খানিক গতি নিয়ে ট্রেন চললে জয়েন্ট পয়েন্টগুলো ফাঁক হয়ে যায়। এসব লাইন মেরামত না করায় চরম দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। ব্যবসায়ী কমর উদ্দিন বলেন, লুপলাইনগুলো দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় এখানে মালবাহী ট্রেনের প্রায় লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটে। লাইনগুলো ওয়াগন প্রবেশের অনুপযোগী হিসেবে ঘোষণা করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তাই পাথর আমদানি করতে পারছি না। কবে নাগাদ সংস্কার করা হবে সেটি নিয়েও কিছু বলে না রেল কর্তৃপক্ষ। সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ওবাইদুল ইসলাম রতন জানান, সৈয়দপুর অংশে রেললাইন ঘেষে বাজার ও বসতি গড়ে উঠেছে।

তাই রেললাইনে পাথর থাকে না। তাছাড়া দীর্ঘদন ধরে রেললাইনে পাথর না দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সৈয়দপুর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) সুলতান মৃধা জানান, রেলওয়ে বিভাগ লাইনগুলো সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যে দরপত্র আহ্বান করেছে। আশা করা হচ্ছে আগামী সপ্তাহে লাইনগুলোর সংস্কার কাজ শুরু হবে। যেসব স্থানে পাথর নেই, সেখানে পাথরও দেয়া হবে।