ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অবৈধভাবে সরকারি গাছকাটা প্রমাণিত

চার মাসেও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি

চার মাসেও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি

নেত্রকোনার পূর্বধলায় অবৈধভাবে সড়কের সরকারি গাছ কাটার বিষয়ে তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার পর ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও ব্যবস্থা নিতে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স এ ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করতে একাধিকবার লিখিতভাবে নির্দেশ দেন উপজেলা প্রকৌশলী ও তদন্ত কমিটির প্রধান মো. সাদিকুল জাহান রিদানকে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে অভিযুক্ত স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কামরুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করছেন তিনি। ইউএনও শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স গত বুধবার বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে একাধিকবার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাদিকুল জাহান রিদান বলেন, এ ঘটনায় গত বুধবার বিকালে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। মামলা করার নির্দেশ থাকলেও জিডি কেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী থানা পুলিশ জিডি গ্রহণ করেছে। জানা গেছে, গেল বছর ১১ অক্টোবর উপজেলায় কলেজ রোড ও কাপাশিয়া রোডে ৯টি গাছ নিলামে বিক্রি করে এলজিইডি। ৯৬ হাজার ৫০০ টাকায় গাছগুলো ক্রয় করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম খান। ২৪ নভেম্বর ৯টি গাছের জায়গায় ১৬টি গাছ কাটার অভিযোগ উঠে নিলামকারী কামরুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে। স্থানীয় এক ব্যক্তি এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও দাখিল করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাদিকুল জাহান রিদানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রশাসন। পরে তদন্ত কমিটি অতিরিক্ত ৯টি গাছ কাটার স্থলে ১৫টি গাছ কাটার প্রমাণ পায়। ২১ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে গত ৩ জানুয়ারি নিলাম ডাক বহির্ভূত ছয়টি মেহগনি গাছ অবৈধভাবে কাটার দায়ে অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের জন্য উপজেলা প্রকৌশলী অবহিত করা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত