বালু উত্তোলনের তৈরি খাদে পড়ে শিশুর মৃত্যু!

প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আরিফুর রশীদ, লালমনিরহাট

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার তিস্তা নদীর বালু উত্তোলনের গভীর গর্তে পড়ে ফাহিম হোসেন নামে চার বছরের এক শিশু মারা গেছে। সে মহিষখোঁচা এলাকার মঞ্জু মিয়ার ছেলে। গত শুক্রবার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের চৌরাহা এলাকায় দুপুরে শিশুটি নিখোঁজ হয়। পরে বিকালে রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল মরদেহ উদ্ধার করে। অই এলাকায় চলমান বেড়িবাঁধের সুযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে গভীর খাদ হওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। এলাকাবাসী জানায়, মহিষখোঁচা এলাকায় বেড়িবাঁধের কাজ চলমান। কাজের অংশ হিসেবে নদীতে পাঁচ ফুট গভীর করে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে ব্লক ফেলার কথা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় বেশ কিছু চক্র দিনে-রাতে ওই জায়গা থেকে অবৈধ মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে। ফলে সেখানে গভীর খাদের সৃষ্টি হয়। শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা ধু-ধু বালুচর হলেও নদীর ধারে বেড়িবাঁধের ওই স্থান থেকে বালু উত্তোলন করা হয়। এতে প্রায় ২৫-৩০ ফুট গভীর খাদের তৈরি হয়েছে বলে জানায় এলাকাবাসী। ফাহিমের বাবা মঞ্জু মিয়া বলেন, বালু তুলে বিক্রি করায় সেখানে গভীরতা হয়। এতেই আমার সস্তান ডুবে যায়। আমি এর বিচার চাই।

এলাকাবাসী এমদাদুল হক, মতিন মিয়া দাবি করেন, ঠিকাদারের লোকের সহায়তায় দীর্ঘদিন বালু তোলায় এখানে গভীর খাদ হয়েছে। সেখানেই শিশুটি পড়ে মারা গেল। বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

এ বিষয়ে ঠিকাদারের প্রতিনিধি নুরে আলম সিদ্দিকী বাবুকে (০১৭১১-০৭৫৩১৮) একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পানি উন্নয়ন বোর্ড জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, বেড়িবাঁধের জায়গায় পাঁচ ফিটের বেশি গভীর হওয়ার সুযোগ নেই।

বস্তা ডাম্পিংয়ের আগে ব্লক ফেলার বিষয়ে দ্রুত খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।

রংপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দলের টিম লিডার মিজান হোসেন বলেন, নদী থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।