ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

থেমে নেই পাথর উত্তোলন

থেমে নেই পাথর উত্তোলন

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতীর গারো পাহাড় এলাকায় চলছে বালু ও পাথর উত্তোলন। পাহাড় কেটে এই পাথর ও বালু উত্তোলনের ফলে শত শত হেক্টর শালবাগান ধ্বংস হচ্ছে। এর পেছনে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতারাসহ পাহাড়ের স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী এবং অসাধু বন কর্মকর্তার যোগসাজশ রয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছে।

উপজেলার গান্ধিগাঁও গ্রামের সুজন মিয়া জানান, আমি পাথর বালু উত্তোলন করি না, দিনমজুরের কাজ করি। তারপরেও বন বিভাগ আমার নামে মামলা দিছে। যারা পাথর বালু উত্তোলন করে তারা প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় তাদের নামে মামলা দেয় না। একই গ্রামের আরেক বাসিন্দা আল-আমিন জানান, পাহাড় কাটতে আমরা নিষেধ করি কিন্তু তারা আমাদের কথা শুনে না।

ঝিনাইগাতী উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা জানান, তিনি বালু-পাথর উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত না। তাকে ফাঁসানোর জন্যই তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

রাংটিয়া রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দ বালি বলেন, ঝিনাইগাতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাথর উত্তোলনের বিষয়টি জানেন। ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম বলেন, ওই ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে আমার দেড় বছর ধরে কোনো কথা হয় না। পাহাড় থেকে বালু ও পাথর উত্তোলন বন্ধে আমি আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে একাধিকবার তাগাদা দিয়েছি তবুও নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। ঝিনাইগাতি নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ জানান, আমাদের কোনো পাথর মহাল বা সরকারিভাবে ডাক নেই। তাই পাহাড় থেকে পাথর উত্তোলন অবৈধ। আমরা কিছু অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পাথর উত্তোলন বন্ধে বিজিবি, থানা এবং বন বিভাগ যৌথ টহল দিবে। মাসিক আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে বন বিভাগ জানিয়েছিল পাহাড় থেকে পাথর বালু উত্তোলন হয় না।

শেরপুর সহকারী বন সংরক্ষক আবু ইউসুফ জানায়, পাহার ধ্বংস নয় রক্ষা করতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাথর উত্তোলনের সঙ্গে বন বিভিাগের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে এমপি একেএম ফজলুল হক চাঁন জানান, ওই ছাত্রলীগ নেতারা কে কে? তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। বালু ও পাথর উত্তোলনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত