ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শত বছরের পুরোনো খাল দখল

শত বছরের পুরোনো খাল দখল

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া সিনেমা হল রোডের পাশ দিয়ে বয়ে যওয়া দুই কিলোমিটার খালের ওপর বাঁধ দিয়ে দখল করে নিচ্ছেন খালের দুই পাড়ের বসবাসকারীরা। ফলে খাল দিয়ে পানি ঢুকতে ও বের হতে না পারায় হুমকির মুখে পরেছে সহস্রাধিক কৃষক। অবৈধ দখলকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।

সাটুরিয়ার এই খালটি দখল হওয়ার কারণে হুমকির মুখে পরেছে শত শত কৃষক। এই খাল দিয়ে বালিয়াটি, হাজিপুর, কুষ্টিয়া, উত্তর কাওন্নারা ও সাটুরিয়া কৃষকরা বর্ষা মৌসুমে পানি বের করত ও বর্ষা শেষে পানি বের করে দিত। ফলে কৃষকরা সময়মতো তাদের শষ্য ফলাতে পারত। প্রায় ২০ বছর ধরে ওই খাল দিয়ে পানি ঢুকতে না পারায় কৃষি জমির মাটি উর্বরতা না হওয়ার অভিযোগ করেছেন কৃষকরা। কৃষকরা এই খাল দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করে খালটি পুনর্খনন করার দাবি জানান।

উপজেলা আওয়ামী লীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, এভাবে ছোট্ট খালের উপর প্রায় ৪০ বাঁধ দিয়ে আটকানোর কারণে খালে জমানো পানি দূষিত হয়ে বিভিন্ন রোগবালাই দেখা দিয়েছে ও ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। সমস্যায় পড়েছে শত শত কৃষক।

সাটুরিয়া ৬ নম্বর ইউপি সদস্য মো. শহর আলী বলেন, খালের দুই পাড়ে বসবাসকারীরা খালের ওপর বাঁধ দিয়ে চলাচলের রাস্তা করেছে। এভাবেই খালটি দখল করে নেন তারা।

পূর্ব কুষ্টিয়া থেকে সাটুরিয়া বাজার পর্যন্ত খালের ওপর ৪০টি বাঁধ দেয়ায় সাটুরিয়ার ইউএনও ও সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তাকে একাধিকবার বলেছি। প্রশাসনকে জানানোর পরও কোনো কাজে আসেনি।

সাটুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন পিন্টু বলেন, সিনেমাহল রুটের খালটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেউ দখল করে বাড়ি বা বাঁধ করে থাকলে তা উচ্ছেদ করে খালটি পুনরায় চালু করার দাবি জানান প্রশাসনের কাছে।

এ বিষয়ে সাটুরিয়ার ইউএনও শারমিন আরা বলেন, খালটি কে কে দখল করে বাঁধ ও বাড়ি নির্মাণ করেছে তা সার্ভে করার জন্য সহকারী তহসিলদারকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত