ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পাবনার নগরবাড়ী নৌবন্দর নির্মাণে ধীরগতি

বার বার প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি

বার বার প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি

ভূমি অধিগ্রহণে দীর্ঘসূত্রতাসহ নানা জটিলতায় পাবনার নগরবাড়ি নৌবন্দর নির্মাণের ৩ বছরের প্রকল্প ৫ বছরেও শেষ হয়নি। দীর্ঘ ৫ বছরে মাত্র ৬০ শতাংশ কাজ হওয়ায় নতুন করে আরো ২ বছর সময় বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে। বার বার মেয়াদ বৃদ্ধির ফলে প্রকল্প ব্যয়ও বাড়ছে। এদিকে নির্ধারিত সময়ে নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় এ বন্দরে বড় জাহাজ নিয়ে এসে পণ্য খালাস করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অপরদিকে দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণকাজ চলতে থাকায় এখানে আমদানি পণ্যের সরবরাহ কমে গেছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা গেছে, দেশের উত্তরাঞ্চলে নৌপথে পণ্য পরিবহণের সুবিধা বাড়াতে সরকার পাবনার নগরবাড়িতে একটি আধুনিক নদীবন্দর নির্মাণের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২০১৮ সালে ৫১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনার পাড়ে বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করা হয়। ৩ বছর মেয়াদি এই প্রকল্প শুরুতেই ভূমি অধিগ্রহণে দীর্ঘসূত্রতাসহ নানা জটিলতায় পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে প্রথম দফায় প্রকল্পের মেয়াদ ১ বছর বাড়ানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুনর্নির্ধারিত মেয়াদেও কাজ শেষ না করতে পারায় আবারও প্রকল্পের মেয়াদ ২ বছর বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যয় বাড়ানোরও আবেদন করেছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা বিআইডব্লিউটিএ।

পাবনার নগরবাড়ি নৌবন্দর কর্মকর্তা মো. ওয়াকিল জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে একটি সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত নদীবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। এরই মধ্যে নদীপাড়ের বিভিন্ন স্থাপনার কাজ শেষ হয়েছে। তবে জেটি নির্মাণের কাজ এখনো বাকি।

নগরবাড়ি ঘাট এলাকার আমদানিকারক নওয়াপাড়া গ্রুপের স্থানীয় প্রতিনিধি মো. আরমান হোসেন বলেন, আমাদের আমদানি করা সার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহের জন্য নগরবাড়ি ঘাটে নিয়ে আসা হয়। এখানে নির্মাণকাজ চলতে থাকায় এবং নদীতে পর্যাপ্ত নাব্য না থাকায় এখন বেশিরভাগ পণ্য যশোরের নওয়াপাড়া ঘাটে আনলোড করা হচ্ছে। নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় এ বন্দরে বড় জাহাজ নিয়ে এসে পণ্য খালাস করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

নগরবাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. রফিক উল্লাহ জানান, আগে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন বন্দরে প্রায় ২০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হত। ৮-১০টি জাহাজ পণ্য নিয়ে আসত। কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ এখানে করত। কিন্ত বর্তমানে ঘাটে জাহাজ ভিরতে না পারার কারণে আমদানি-রপ্তানি কমে গেছে। ফলে শত শত শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তিনি দ্রুততম সময়ে নৌবন্দর নির্মাণ প্রকল্প শেষ করার জোর দাবি জানান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত