ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হরিণ শিকারিচক্র বেপরোয়া

হরিণ শিকারিচক্র বেপরোয়া

সুন্দরবনে আশঙ্কাজনকভাবে হরিণ শিকার বেড়েছে। পশ্চিম ও পূর্ব সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিনিয়ত বন বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশ, কোস্টগার্ডের হাতে ধরা পড়ছে হরিণের মাংস। মংলা, জয়মনি, ধানসাগর, বানিশান্তা, চাঁদপাই, কালাবগি, সুতারখালি, হড্ডা, ৪নং কয়রা, মঠবাড়ি, জোড়শিং, পাতাখালি, খাসিটানা, আংটিহারা, গোলখালি, গাবুরা, মুন্সিগঞ্জ, হরিনগরসহ বনাঞ্চল সংলগ্ন লোকালয় দিয়ে প্রতিনিয়ত রাতের অন্ধকারে চোরা শিকারিচক্র হরিণের মাংস পাচার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, কয়রা এলাকার ৩০টির বেশি চোরা শিকারিচক্র সুন্দরবনে ফাঁদ পেতে নির্বিচারে হরিণ নিধন করছে। এদের পাকড়াও করতে বনবিভাগ হিমশিম খাচ্ছে। বস্তাভর্তি হরিণের মাংস শ্যামনগর, সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর, বাগেরহাট, বরিশাল, ঝালকাটি, বরগুনা, ঢাকাসহ অন্যত্র নিয়ে চোরাকারবারিরা বেচাবিক্রি করে আর্থিক ফায়দা লুটে নিচ্ছে। পশ্চিম সুন্দরবনের কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশন, কোবাদক, বুড়িগোয়ালিনী, নলিয়ান ও কালাবাগি ফরেস্ট স্টেশনে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি দু’মাসে বন্যপ্রাণী নিধন অপরাধ আইনে ৪২টি মামলা হয়েছে। মামলার আসামি হিসেবে ২৬ জনকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়রার জোড়শিং ও আংটিহারা গ্রামের অনেকে জানিয়েছেন, এ এলাকা দিয়ে প্রতি সপ্তাহে চোরা শিকারিরা সুন্দরবনে ফাঁদ পেতে একশ’র বেশি হরিণ শিকার করে ৪০০ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি করছে। এখানকার অনেকের বাড়িতে হরিণের মাংস দিয়ে মেহমানদারি করা হয় বলে জানা গেছে। এসব চোরা শিকারি সিন্ডিকেট চক্র নির্মূল করতে বন বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি বাড়ানো দরকার বলে মনে করেন সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকার সচেতন মহল। পশ্চিম সুন্দরবনের কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা শ্যামাপ্রসাদ রায় বলেন, চোরাশিকারিদের রুখতে দিনরাত টহল করার পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে কঠোর নজরদারি। হরিণ শিকার ও কাঁকড়া আহরণের অপরাধে এরই মধ্যে ৭টি মামলা রুজ্জু করা হয়েছে এবং ধৃত আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বনাঞ্চল সংলগ্ন বিভিন্ন পয়েণ্টে হরিণ শিকার রোধ করতে জনসচেতনতামূলক সভা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত