ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

কুষ্টিয়া মডেল থানায় তরলদাহ্য পদার্থ ছুড়ে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ জুলেখা খাতুনকে হত্যার অভিযোগে দায়ে মামলায় রোকনুজ্জামান ওরফে রনিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানারও আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালেন বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম দণ্ডপ্রাপ্ত যুবকের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত রনি হলেন কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুর এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ফজলুল হকের মাদকাসক্ত ছেলে।

মামলার এজাহার ও আদালতের সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২১ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টায় ভাড়াটিয়া অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ জুলেখা খাতুন বাড়ির মালিক হামিদা খাতুনের সাথে তার দোতলায় বসে গল্প করছিলেন। এ সময় ইন্টারনেট সংযোগের পাসওয়ার্ড দেয়া-নেয়াকে কেন্দ্র করে পূর্ব থেকে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের জেরে বাড়ি মালিকের ছেলে রোকনুজ্জামান পেট্রল, তারপিনসহ অতি দাহ্য মিশ্রিত তরল পদার্থ ছুড়ে গ্যাস লাইটের আগুন ধরিয়ে দেয়া গৃহবধূ জুলেখার দেহে। এ ঘটনায় তার শরীরের ৭০ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। দগ্ধ জুলেখাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসক প্রয়োজনীয় ও উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে জুলেখা ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে। এ ঘটনায় তার বাবা মিরপুর উপজেলার সাহেবনগর গামের বাসিন্দা পোলট্রি ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান আসামি রোকনুজ্জামান রনির বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ এনে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ০৩ জুন কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক জাবিদ হাসান এ মামলার একমাত্র আসামি রোকনুজ্জামানের বিরুদ্ধে একসাথে দুইটি হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে চার্জশিট দাখিল করেন আদালতে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল হালিম জানান, নিহত গৃহবধূর বাসায় ব্যবহৃত ইন্টারনেট সংযোগের পাসওয়ার্ড নেয়া-দেয়াকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই যুবক রোকনুজ্জামানের সাথে দ্বন্দ্ব চলছিল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত