ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের অবহেলা

দুই নবজাতকের মৃত্যু

দুই নবজাতকের মৃত্যু

মায়ের পেটের উপর দিয়ে জোরে চাপ প্রয়োগ করে প্রসব করানো ও ভুল ইনজেশন পুশ করার কারণে হাসপাতালে দুই নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক ওরফে ওটি বয় মোরশেদ আলমকে নবজাতকদের স্বজনরা মারধর করে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনা ঘটেছে গত বুধবার রাতে শহরের আব্দুল করিম পাটওয়ারী সড়কের এলজিইডি সংলগ্ন স্থানের চাঁদপুর জেনারেল (প্রা:) হাসপাতাল ২য় ও চতুর্থ তলায়। ঘটনার পর পর চিকিৎসক অন্য পরিচালকরা পালিয়েছে বলে হাসপাতালের অন্য দায়িত্বরত স্টাফরা জানিয়েছেন। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সিজারের পর হাসপাতালের চতুর্থ তলায় পুরান বাজার ১নং ওয়ার্ডের বাকালী পট্টির ভ্যানচালক শাহজাহান সর্দারের তিনদিন বয়সি নবজাতক চিকিৎসাসেবা না পেয়ে মৃত্যুবরণ করে। অন্যদিকে সিনিয়র নার্স আকলিমা ও ওটি ইনচার্জ মোরশেদ আলমের নরমাল ডেলিভারির সময় স্থানীয় বকাউল বাড়ী রোডের সন্তু বেপারীর নবজাতকের মৃত্যু হয়। শাহজাহান বলেন, ওই হাসপাতালে তার স্ত্রী সুফিয়া বেগমের সিজারের মাধ্যমে কন্যা শিশুর জন্ম হয়। জন্মের পর থেকে সুস্থই ছিল। গত বুধবার বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়লে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। পরে ডাক্তার গফুরের উপস্থিতিতে নার্স ইনজেকশন পুশ করার পর নবজাতক মারা যায় বলে শিশুর ফুফু শাহনাজ বেগম জানান। সন্তু বেপারী বলেন, আমার সন্তান তারা ইচ্ছা করে মেরেছে। আমি তাদের বলেছি নরমাল ডেলিভারিতে সমস্যা হলে সিজার করেন। তাদের হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক নেই, তারা কোনো চিকিৎসক ডেকেও নিয়ে আসেনি। হাসপাতালে থাকা আমার স্বজনরা বলেছে, পেটের মধ্যে জোরে চেপে ধরে আবার সন্তানকে তারা হত্যা করেছে। মোরশেদ আলম স্বীকার করেন, তিনি ও নার্স আকলিমা হীরার নরমাল ডেলিভারি করেছেন। সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. মোস্তফা জানান, ঘটনা তদন্ত করে এবং অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত