কালভার্টের মুখ বন্ধ করে মাটি ভরাট

প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মশিয়ার রহমান, কেশবপুর (যশোর)

যশোর-সাতক্ষীরা সড়ক সংলগ্ন কেশবপুর শহরের তেল পাম্পের পাশে কালভার্টের মুখ বন্ধ করে এক ব্যবসায়ীসহ ৫ ব্যক্তি মাটি ভরাটের কাজ করছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ হয়ে মধ্যকুল এলাকা জলাবদ্ধতাসহ হাজারও বিঘা জমির ফসল উৎপাদন বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। মাটি ভরাটের কাজ বন্ধে এলাকাবাসী উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর পৌরসভার মধ্যকুল এলাকার মোড়ল পাড়া, কর্মকার পাড়া, দফাদার পাড়া, মোল্যা পাড়া, গাজী পাড়াসহ ৩/৪ গ্রামের বর্ষার অতিরিক্ত পানি শত বছর ধরে যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের পাশের কালভার্ট ও ব্রিজ দিয়ে হরিহর নদীতে নিষ্কাশন হয়ে থাকে। সম্প্রতি মধ্যকুল আলিম মাদ্রাসার সুপার মাওলানা কফিলউদ্দীন ওই জমি কেশবপুর শহরের ব্যবসায়ী তৌহিদুর রহমান, হাফিজুর রহমান, মাসুদুজ্জামান, শফিকুল ইসলাম ও মাস্টার দীপঙ্কর দাসের কাছে মোটা অঙ্কের টাকায় বিক্রি করে দেয়। এ সময় ব্যবসায়ী তৌহিদুর রহমানসহ অন্য ক্রেতারা পানি নিষ্কাশনের বিকল্প ব্যবস্থা না করে ৪/৫ দিন ধরে মাটি দিয়ে ওই ডোবা ভরাটের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী বাধা দিলেও এর কোনো কর্ণপাত না করে তারা ডোবা ভরাটের কাজ অব্যাহত রেখেছেন।

এলাকার ৮০ ঊর্ধ্ব বয়সি কৃষক অনিল কর্মকার, শাহীনুর রহমান জানান, মধ্যকুল বন্যাদুর্গত এলাকা। বছরে একমাত্র বোরো ছাড়া অন্য কোনো ফসল আবাদ হয় না। এরপরও কালভার্টের মুখ ভরাট করলে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে মানুষের বাড়িতে পানি উঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। জলাবদ্ধতার কারণে শত শত কৃষকের হাজারও বিঘা জমি পতিত থাকবে। এলাকার কৃষকও কর্ম হারাবে। ফসল না হলে মানুষকে অর্ধাহারে দিন কাটাতে হবে। যে কারণে এলাকাবাসীর পক্ষে আবুল কাশেম গত ২৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাছে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জমির ক্রেতাগণ ডোবার আড়াআড়িভাবে বাঁশের পাইলিং করে মাটি ভরাটের কাজ করছে। প্রতিদিন ২/৩টি ট্রাক্টরে করে মাটি এনে কালভার্টের মুখসহ ওই ডোবা ভরাট করা হচ্ছে। ৫/৬ জন শ্রমিক মাটি সরানোর কাজ করছে। এ নিয়ে এলাকার কৃষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানতে চাইলে জমি ক্রেতা ব্যবসায়ী তৌহিদুর রহমান বলেন, ঘেরের পানি সরানোর জন্য ওই স্থানে কালভার্ট বসিয়েছিল ঘের মালিক। ওই ডোবা দিয়ে কখনো এলাকার পানি নিষ্কাশন হতো না। তারা মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুজ্জামান বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি। ১/২ দিন পর আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।