ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাড়তি খরচে কৃষক চিন্তিত

বাড়তি খরচে কৃষক চিন্তিত

গাইবান্ধায় ধানের রাজ্য হিসেবে খ্যাতি রয়েছে। বর্তমানে জেলাজুড়ে চলছে বোরো ধান আবাদের ভরা মৌসুম। এরইমধ্যে পরিচর্যাসহ সার-কীটনাশক প্রয়োগে ব্যস্ত কৃষকরা। তবে এ বছরে বাড়তি খরচে নাভিশ্বাস করে ফেলছে তাদের। অর্থ সংকট আর খরচের ঊর্ধ্বগতির কারণে কৃষকদের কপালে পড়ছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। গত বছরের তুলনায় এবার জেলার বোরো আবাদে প্রায় পৌনে ২০০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে বাড়তি খরচের হিসাব গুনছেন তারা। কৃষক সিদ্দিক আলী জানান, গত বোরোতে ১ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ করছিলেন। এতে তার সর্বমোট খরচ হয়েছিল ৮২ হাজার ৫০০ টাকা। এ বছর তা হেক্টর প্রতি ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হতে পারে। ফলে চলতি মৌসুমে বোরো ধান আবাদের বাড়তি খরচ নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে। গত বছরে বিদ্যুৎ চালিত সেচযন্ত্র মালিককে হেক্টর প্রতি ভাড়া দিয়েছিলেন ১২ হাজার ৩০০ টাকা। কিন্তু এ বছর বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়ায় সেটি মেশিন মালিক ১৭ হাজার ৩০০ টাকা নির্ধারণ করেছে। বিদ্যুৎ চালিত অগভীর সেচযন্ত্রের মালিক জামাত আলী বলেন, গত বোরো মৌসুমে গৃহস্থদের কাছ থেকে প্রতিবিঘা ১ হাজার ৬৫০ টাকা নেওয়া হয়েছে। এ বছরের বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়ায় ২ হাজার ৩১০ টাকা নির্ধারণ করেছি। কিন্তু এখনও বিদ্যুতের নতুন বিল হাতে পাওয়া যায়নি। কৃষি বিভাগের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু তাহের মিয়া বলেন, সম্প্রতি সময়ে বৈশ্বিক সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টরের দাম কিছুটা বেড়েছে। যার প্রভাব কৃষি ক্ষেত্রেও পড়বে। গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক বেলাল উদ্দিন জানান, বোরো আবাদে কৃষকদের লাভবান করতে এরইমধ্যে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া কিছু কিছু জায়গায় সমবায় পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা বোরো ধান ঘরে তুলে লাভবান হবেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত