কালভার্ট যেন বাড়ির উঠুন!

প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো. তাজুল ইসলাম, তিতাস (কুমিল্লা)

এক সময়ের গ্রামের মধ্যদিয়ে প্রবাহমান খাল ছিল। খালের দু’পাশে ছিল বাড়িঘরে জনবসতি। সময়ের পালাক্রমে সেই খালের উপর এখন সিসি ঢালাইয়ের রাস্তা। আর সেই রাস্তা দিয়ে চলছে যানবাহন। উক্ত খালের উপর নির্মিত কালভার্টটি স্থানীয় লোকজন উঠুন হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের দড়িগাঁও গ্রামে গিয়ে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দড়িগাঁও গ্রামের মাঝখান দিয়ে ৩ দিকের প্রায় ৪ কিলোমিটার যে খালটি ছিল তা ২০১২ সালে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে তৎকালিন মজিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান দড়িগাঁও গ্রামের মো. জসিম উদ্দিন ভরাট করে ফেলেন। পরবর্তী সময়ে সরকারি অনুদানে খালের উপর রাস্তা নির্মাণ পরবর্তী সময়ে সিসি ঢালাই দেন। দড়িগাঁও গ্রামের একপ্রান্তের পানি খালটি দিয়ে গ্রাম সংলগ্ন কাঁঠালিয়া নদীতে গিয়ে পড়ত। আর দু’পাড়ের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে খালের শেষপ্রান্তে ২০০৩ সালে স্বল্পব্যয়ী পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন (লোকস্ট) প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে উক্ত কালভার্টের দু’পাশের প্রবেশমুখে রয়েছে বসতঘর। আর কালভার্টের নিচ দিয়ে সাধারণ লোকজন কাঁঠালিয়া নদীতে যাতায়াত করে আসছে।

দড়িগাঁও গ্রামের মো. রুহুল আমিন ও ফজলুল করিম জানান, খালটির দু’পাড়ের মানুষের সেতুবন্ধন ছিল কালভার্টটি। পরবর্তীতে খালটি ভরাট করে ফেলায় কালভার্টটি আর কোন প্রয়োজনে আসছে না। তবে এটি এখন মানুষের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। বর্তমানে কালভার্টটি সাধারণ লোকজন উঠুন হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। কালভার্টের নিচে মাটি ভরাট হওয়ায় মাথায় করে কোনো পণ্যসামগ্রী আনা যায় না বরং মাথা নিচু করে কালভার্টের নিচ দিয়ে চলাচল করতে হয়। কালভার্টটি ভেঙে ফেলা জরুরি হয়ে পড়েছে।

তবে মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, আমি একাধিক মাসিক আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ের বিষয়টি উত্থাপন করেছি। এটি ভেঙে ফেলা ছাড়া আর কোনো পথ নেই। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম মোর্শেদ জানান, খালটি ভরাট হয়ে গেছে খুবই দুঃখজনক। তবে কালভার্টের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।