ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বসতবাড়ির ৩ তলায় গরুর খামার

বসতবাড়ির ৩ তলায় গরুর খামার

যশোরের কেশবপুর পৌর এলাকায় বসতবাড়ির ৩ তলা ছাদে দৃষ্টিনন্দন দেশি জাতের গরুর খামার গড়ে উঠেছে। ব্যতিক্রমধর্মী এ খামারে দেশি প্রযুক্তির লিফটে করে গরু ওঠা-নামা করানো হয়। ওই খামার মালিক নিজে একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হওয়ার পাশাপাশি অনেক শিক্ষিত বেকার যুবককে দেশি জাতের গরু পালনে উদ্বুদ্ধ করছেন। অল্পদিনেই খামারটি এলাকায় সাড়া জাগিয়েছে। সরেজমিন জানা যায়, পৌরসভার ভোগতী এলাকার নজরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে স্বপ্ন দেখতেন একটি দেশি জাতের গুরুর খামার করার। কারণ অধিক লাভের আশায় অধিকাংশ খামারিরা বিদেশি জাতের গরুকে ভেজাল খাদ্য খাওয়ায়ে দ্রুত স্বাস্থ্যবান করে তোলে। এসব ভেজাল মাংস খেয়ে অনেকে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। একথা উপলব্ধি করেই তিনি উদ্যোগ নেন দেশি প্রজাতির গরুর খামার করার। বাড়িতে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় তিনি প্রতিবেশী আলমগীর হোসেনের ১২ শতক জমি হারি নিয়ে খামার করার পরিকল্পনা নেন। কিন্তু আলমগীর হোসেন তার কাছে বছরে ৮০ হাজার হারি টাকা দাবি করায় তিনি পরিকল্পনা নেন বসতবাড়ির ৩ তলা ছাদেই করবেন তার স্বপ্নের গরুর খামার। ৬ মাস আগে বসতবাড়ি ৩ তলায় ১২ থেকে ১৪টি গরু পালন করার একটি টিনসেডের খামার করেন। নজরুল ইসলাম বলেন, তার খামারের গুরুকে বিচালী, খৈল, কুড়া ভূষি ছাড়া অন্য কোনো ভেজাল খাবার দেয়া হয় না। খামারের প্রতিটি গুরু ৮৫ থেকে ৯০ হাজার টাকায় ক্রয় করা হয়েছে। খামারে গরু ওঠা-নামাতে বাড়ির সামনে তৈরি করা হয়েছে নিজের উদ্ভাবিত লিফট। বর্তমান তার খামারে ১২টি দেশি প্রজাতির গরু রয়েছে। প্রতিটি গরুর মূল্য ১ লাখ ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা হলেই তিনি গরু বিক্রি করে দেবেন। গরু লালন-পালনের জন্যে সার্বক্ষণিক একজন শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বর্তমান গোখাদ্যের যেভাবে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে, তাতে আমার মতো ছোট ছোট খামারিরা লাভবান হচ্ছে না। এরপরও এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবকরা এলোমেলো ঘোরাফেরা না করে যদি নিজেরা উদ্যোক্তা হয়ে এ ধরনের কাজ করে, তাহলে তারা সফলতা পাবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। তিনি সবেমাত্র খামার করেছেন। সরকারের প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কোনো ঊধ্বর্তন ব্যক্তি এখনও তার খামারটি পরিদর্শনে আসেননি। তিনি সরকারি বা বেসরকারি সহযোগিতা পেলে খামারের আয়তন বৃদ্ধিসহ গরুর সংখ্যাও বাড়িয়ে দেশের স্বার্থে ভেজাল মুক্ত মাংস উৎপাদন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অলোকেস সরকার বলেন, এ উপজেলায় ছোট-বড় মিলে ৫৮০টি গরুর খামারে ৯৪ হাজার গরু রয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত