ইটভাটায় পুড়ছে কৃষি জমির প্রাণ

প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো. তাজুল ইসলাম, তিতাস (কুমিল্লা)

কুমিল্লার তিতাসে ইটভাটাগুলোতে পুড়ছে কৃষি জমির প্রাণ টপ সয়েল। উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নে একটি প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতায় ভূমিহীনদের বন্দোবস্ত দেয়া সরকারি খাস খতিয়ান এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে গোমতী নদীর এক পাড়সহ আশপাশের কৃষি জমি। বন্দোবস্ত পাওয়া দুলারামপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শহিদ উল্লাহ বলেন, ভূমিহীন হিসেবে আমি ও আমার পরিবার ৬৩নং জোয়ার গোবিন্দপুর মৌজায় ১৫ শতাংশ জায়গা পেয়েছি। বিগত কয়েকদিন ধরে আশেপাশের লোকজন মাটি বিক্রি করছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়ে ছিলাম। তারপরও মাটি কাটা চলছিল। পরে আমিও স্থানীয় সিন্ডিকেটের চাপে প্রভাবিত হয়ে ইটভাটার মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে মাটি বিক্রি করি। দড়িকান্দি এলাকার কৃষক রমিজ উদ্দিন ও খালেকুর রহমান জানান, এভাবে মাটি কাটা অব্যাহত থাকলে আশপাশে থাকা তাদের জমির মাটি খনন করা গর্তে বিলীন হবে। ফলে এক সময় বাধ্য হয়ে তাদের জমির মাটিও বিক্রি করতে হবে। তবে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে, মাটি কাটার ফলে গোমতী নদীর গতিপথও পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মেসার্স মনু ব্রিক্সের স্বত্বাধিকারী শফিউল হোসেন জানান, তার ভাটায় প্রায় দুই শতাধিক লোকের কর্মসংস্থান। ইটভাটা মাটি ছাড়া চলে না। মূলত জমির মালিক বা মাটি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে মাটি কিনে থাকেন। সরকারি জায়গা থেকে মাটি আনার প্রশ্নই ওঠে না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম মোর্শেদ জানান, বিষয়টি তিনি এসিল্যান্ডকে জানিয়েছেন। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশিক-উর-রহমান বলেন, গতকাল রোববার অভিযান চালিয়ে মেসার্স মনু ব্রিক্সের স্বত্বাধিকারী শফিউল হোসেনকে বন্দোবস্তকৃত কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এর আগে একাধিকবার তাকে সর্তক করা হয়েছিল। এর পরেও যদি সে ওই স্থান থেকে মাটি কাটে তাহলে তার লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হবে।