শ্যামনগরে অতিরিক্ত মূল্যে সার বিক্রি

প্রতিটি দোকানে মূল্য তালিকা থাকার পরও নির্ধারিত দামে মিলছে না সার

প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলমগীর সিদ্দিকী, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের গ্রামগঞ্জে অতিরিক্ত মূল্যে সার বিক্রি হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোনো তদারকি না থাকার অভিযোগ উঠেছে। কাশিমাড়ী গ্রামের কৃষক মথুরা মন্ডল জানান, ধান চাষের জন্য প্রতি বস্তা ডিএপি ১ হাজার ৪০০ টাকায় এবং প্রতি বস্তা টিএসপি ১ হাজার ৭০০ টাকায় কিনেছি। কিন্তু সার ক্রয়ের রশিদ চাইলে নির্ধারিত মূল্যের রশিদ প্রদান করেন দোকানি, অতিরিক্ত টাকা লেখা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন সারের বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৮০০ টাকা মূল্যের ডাই অ্যামোনিয়া ফসফেট (ডিএপি) ৯০০-১৪০০ টাকায় এবং ১ হাজার ১০০ টাকার ট্রিপল সুপার ফসফেট বা টিএসপি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায়। এতে কৃষককে বস্তাপ্রতি অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে ১০০-৫০০ টাকা।

নাম জানাতে অনিচ্ছুক শ্যামনগরের একাধিক কৃষক জানান, বিএডিসি ও বিসিআইসির অনুমোদিত উপজেলার প্রতিটি সার দোকানে মূল্য তালিকা থাকার পরও নির্ধারিত দামে মিলছে না সার। আবার অতিরিক্তি দামে সার ক্রয়ের পর রশিদ চাইলেও দেওয়া হয় না। রশিদ চাইলে সার দিতে অপারগতা জানান ডিলাররা। সার ক্রয় করতে আসা ভুরুলিয়া গ্রামের সনাতন মাঝি বলেন। সরকার স্যারের দাম কমালেও আমাদের কোনো উপকার হচ্ছে না। কেনার সময় ডিলাররা দাম অনেক বেশি নিচ্ছে। এতে প্রতি বস্তায় ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে আমাদের।

অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়ে এক সারের দোকানের মালিক বলেন, আমি দোকানে বেশি সময় দিতে পারি না। সিদ্দিক নামের একজন ম্যানেজার থাকে তার কাছ থেকে শুনে আপনাদের জানাতে পারব। পরে মোবাইল ফোনে অনেক বার কল দিলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।

শ্যামনগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বলেন, দাম বেশি নেয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ নেই। সে কারণে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না। প্রমাণ পেলে ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আক্তার হোসেন বলেন, অতিরিক্তি দামে সার বিক্রির বিষয়টি তদন্ত চলছে। প্রমাণ পেলে ডিলারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।