ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

৪০০ গ্রাহকের ২০ কোটি টাকা নিয়ে ডাচ্-বাংলা এজেন্ট ব্যাংক উধাও

৪০০ গ্রাহকের ২০ কোটি টাকা নিয়ে ডাচ্-বাংলা এজেন্ট ব্যাংক উধাও

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ৪০০ গ্রাহকদের প্রায় ২০ কোটি টাকা নিয়ে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংক শাখা তালাবদ্ধ রেখে উদ্যোক্তা মো. আলমগীর উধাও হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের বোর্ড বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। মো. আলমগীর উপজেলার হুগলাকান্দি গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিন বেপারীর ছেলে। সরেজমিন গতকাল বুধবার তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, মো. আলমগীর এজেন্ট ব্যাংকে ব্যবস্থাপক হিসেবে নিয়োগ দেন বীর কাটিহারি গ্রামের কেনু মিয়ার ছেলে মানিক মিয়াকে। গত ১২ মার্চ থেকে বোর্ড বাজারের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এ শাখাটি তালাবদ্ধ। খোঁজ মিলছে না এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার ব্যবস্থাপকেরও। সূত্রমতে, প্রায় এক দশক ধরে আলমগীর বোর্ড বাজারে এজেন্ট ব্যাংকিং করছেন। ১ লাখ টাকার ডিপিএস জমার বিপরীতে মাসে ১ হাজার টাকা সুদ দেয়ার কথা বলে ৪০০ গ্রাহকদের প্রায় ২০ কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ করেন। বিশেষ করে বিভিন্ন প্রবাসীকে টার্গেট করে তিনি এ আমানত সংগ্রহ করতেন। জিনারী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি মেম্বার উসমান গনি বাবুল জমা রেখেছিলেন ১৮ লাখ টাকা, হোগলাকান্দি গ্রামের মোস্তফা ও তিন বোন মিলে রেখেছিলেন সাড়ে ১০ লাখ, হোগলাকান্দি গ্রামের আব্দুল মোতালিব ১৫ লাখ, আবুল কাসেম ১৪ লাখ, প্রবাসী রতন মিয়ার স্ত্রী রোজিনা আক্তার ২৭ লাখ টাকা রাখেন। এভাবে আনুমানিক ৪০০ গ্রাহকের প্রায় ২০ কোটি টাকা জমা রেখেছেন এ এজেন্ট ব্যাংকে।

ডাচ্-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এরিয়া ম্যানেজার রোকন উদ্দিন জানান, গত সোমবার থেকে বোর্ড বাজারের এজেন্টের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী সময়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

হোসেনপুর থানার ওসি আসাদুজ্জামান টিটু বলেন, বিভিন্ন গ্রাহকদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য মন্ডল বলেন, বিষয়টি শুনেছি। উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত