ধানক্ষেতে পার্চিং পদ্ধতিতে কৃষকরা পাচ্ছেন সুফল

প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ড. মুসাফির নজরুল, মাগুরা

বোরো ধানে পার্চিং পদ্ধতি প্রয়োগের ফলে এর সুফল পাচ্ছেন মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কৃষকরা। কৃষকদের মধ্যে এ কার্যক্রমে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। তারা তাদের বোরো ধানের জমিতে নানা ধরনের গাছের ডাল পুঁতে দিচ্ছেন। সেখানে প্যাঁচা, শালিক, দোয়েল, বনটিয়া, চড়ুইসহ নানা জাতের পাখি বসছে এবং ধানের জন্য ক্ষতিকর এমন পোকা-মাকড় খেয়ে ফেলছে। এ পার্চিং পদ্ধতি প্রয়োগের ফলে কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা নেই বললেই চলে।

চলতি মৌসুমে মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ একযোগে মাগুরার সদর, শ্রীপুর, শালিখা ও মহম্মদপুর উপজেলার বোরো ধানের মাঠের ধানক্ষেতে পার্চিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মাদ রফিকুজ্জামান, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমলেশ মজুমদারসহ বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও কৃষকরা সঙ্গে ছিলেন। মাগুরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে।

এ বিষয়ে শ্রীপুর গ্রামের কৃষক ও উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, পার্চিং পদ্ধতির ফলে মাঠের পোকামাকড় খেয়ে ফেলছে পাখিতে। এতে ফসলের রোগবালাই অনেক কমে গেছে। এ কারণে ফসলের উৎপাদন খরচও কমে যাবে। কৃষকরা আনন্দের সঙ্গে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করে লাভবান হচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সালমা জাহান নিপা জানান, কৃষকরা ধানক্ষেতের পোকামাকড় দমনে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করে থাকেন। অনেক সময় অসচেতন কৃষকরা খালি গায়ে কীটনাশক ব্যবহার করে থাকেন তাতে কৃষকের শারীরিক ক্ষতি হয়।