ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শুকিয়ে যাচ্ছে নদী, চিন্তিত বোরো চাষিরা

শুকিয়ে যাচ্ছে নদী, চিন্তিত বোরো চাষিরা

সময়ের আগেই নওগাঁর ছোট যমুনাসহ কয়েকটি নদীর পানি কমে গেছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন নদীর পানি দিয়ে চাষাবাদ করা চাষিরা। আবার আবাদে খরচ বাড়ায় দুশ্চিন্তা কাজ করছে তাদের মাঝে। নদীর ওপর নির্ভরশীল মৎস্যজীবীরা ঝুঁকছেন ভিন্ন পেশায়। নদী খনন করা হলে নদীর সঙ্গে সম্পৃক্ত কৃষি, জীবন জীবিকা ও প্রাণিজ সম্পদ রক্ষা পাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা নওগাঁয় ইরি-বোরো রোপণ ও পরিচর্চায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। তবে সময়ের আগেই পানি কমে যাওয়ায় নদী কেন্দ্রিক জমিতে বোরো চাষাবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তা শুরু হয়েছে চাষিদের। বৃষ্টির পরিমাণ কম হওয়ায় বিগত বছরের তুলনায় ছোট যমুনা, আত্রাই, তুলসিগঙ্গা ও মহানন্দা নদীর পানি দ্রুত কমেছে। কোথাও কোথাও নদী শুকিয়ে গেছে। এ চারটি নদীর পানি দিয়ে প্রায় ১০-১৫ হাজার হেক্টর জমির বোরো আবাদ হয়ে থাকে। এছাড়া বছরের অন্য সময় গম, আলু, পাট, সরিষা ও শাকসবজিসহ অন্যান্য ফসলও হয়ে থাকে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে বেশ কিছু নদী কেন্দ্রিক এলএলপি (ভাসমান সেচ পাম্প) পানি না পেয়ে বন্ধ হয়ে যাবে।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) তথ্যমতে জেলায় ৪ হাজার ১০৩টি গভীর নলকূপের আওতায় প্রায় ৯৮ হাজার হেক্টর জমি এবং ১৯৬টি এলএলপি (ভাসমান সেচ পাম্প) এর আওতায় প্রায় ১ লাখ হেক্টর জমির বোরো আবাদ হয়।

সদর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নে ইকড়তাড়া গ্রামের এলএলপি মালিক তুষার বলেন, ছোট যমুনার নদীর পানি দিয়ে গত পাঁচ বছর থেকে নলকূপটি পরিচালনা করে ১০০ বিঘা বোরো জমির করছেন। এছাড়া অন্যান্য ফসলেও পানি সেচ দেয়া হয়। আমার আগে অন্য একজন এ নলকূপটি পরিচালনা করতেন। তবে একমাস আগেই নদীর পানি অনেক কমে গেছে। আরো দুইমাস জমিতে সেচ দিতে হবে। যদি নদী শুকিয়ে যায় গভীর নলকূপ খনন করতে হবে। এতে আবাদে খরচও বেশি পড়বে। পানি কমায় দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি।

সদর উপজেলার ভবানিপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, নদীকে কেন্দ্র করেই আমাদের জীবন জীবিকা। গত ১৫-২০ বছর আগেও নদীতে প্রচুর মাছ ধরা পড়তো। এ মৌসুমে নদী থেকে এখন খাবার মাছ পাওয়াও কষ্টকর হয়ে উঠেছে। এ নদীর ওপর নির্ভর করে থাকলে তো আামাদের সংসার বা জীবন চলবে না। কেউ রিকশা-ভ্যান চালাচ্ছে, আবার কেউ কৃষি কাজ বা দিনমজুরির পেশায় জড়িয়ে পড়েছে। নওগাঁ রিজিয়ন-১ বরেন্দ্র বহুমুর্খী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বরেন্দ্রের আওতায় ভূগর্ভস্ত এবং ভূউপরস্থ পানি দিয়ে সেচ প্রদান করা হয়। ছোট যমুনা, আত্রাই, তুলসিগঙ্গা ও মহানন্দা নদীর পানি দ্রুত কমে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত