সরকার যেখানে সাধারণ মানুষের সেবাবৃদ্ধি ও যথাযথ সেবা প্রদানে সক্রিয়, তখন কুমিল্লার তিতাসের নিজস্ব নিয়মে চলছে সাব রেজিস্ট্রার অফিস। প্রতি সপ্তাহে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে জমি রেজিস্ট্রেশনের কাজ বন্ধ থাকে দুই দিন। এতে মানুষের ভোগান্তির চরম আকার ধারণ করছে।
জানা যায়, বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত মোহাম্মদ মোমেন মিয়া ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর কর্মস্থলে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে। এমনকি দলিলের নকল ও মূলকপি গ্রহিতা নিতে চাইলে বাধ্যতামূলক (রশিদবিহীন) দিতে হয় ১ থেকে দেড় হাজার টাকা। বিশেষ করে প্রতি সপ্তাহে তিনি রোববার ও বৃহস্পতিবার কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। এসব বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে সাধারণ মানুষ অভিযোগ করলেও তাদের অধিন্যস্ত না হওয়ায় তারা ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার সাব রেজিস্ট্র্রার অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি কাজে আসা জয়নাল আবেদীন জানান, গত বুধবার দলিল করার কথা ছিল। হঠাৎ পারিবারিক সমস্যার কারণে কাজটি করতে পারিনি। অফিসে এসে শুনতে পারলাম আগামী সোমবার ছাড়া দলিল রেজিস্ট্রি করা যাবে না।
উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি হুমায়ুন কবির কাজল বলেন, আমরা স্যারকে সপ্তাহের পাঁচ দিনের মধ্যে দায়িত্ব পালন করতে অনুরোধ করেছি। তবে আমরা উনার অধিন্যস্ত। বেশি পীড়াপীড়ি করতে পারি না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম মোর্শেদ বলেন, উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিস আমার অধিন্যস্ত না হওয়ায় আমি কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছি না।
উপজেলা চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকার বলেন, সাব রেজিস্ট্রারের বিষয়ে অনেকেই মৌখিক অভিযোগ করেন। তবে বিষয়টি আমি জেলা উন্নয়ন সমন্বয়ন সভা বা আইনশৃঙ্খলা সভায় উত্থাপন করব।
