ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঈশ্বরদীর কুঁচিয়া যাচ্ছে বিদেশে

ঈশ্বরদীর কুঁচিয়া যাচ্ছে বিদেশে

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের অন্যতম পেশা কুঁচিয়া শিকার। এসব কুঁচিয়া বেচাকেনার জন্য উপজেলার কালিকাপুর বাজারে গড়ে উঠেছে একটি আড়ত। সেখান থেকে সপ্তাহে দু’দিন ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকা থেকে চীন, থাইল্যান্ড, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয় এ কুঁচিয়া। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুঁচিয়া শিকারি ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর পূর্বপুরুষদের প্রধান পেশা ছিল পশু শিকার। পাশাপাশি তারা ভুট্টার চাষ করতেন। ভুট্টার ভাত, বুনো শূকর ও খরগোশের মাংস ছিল তাদের নিত্যদিনের খাবার। বন-জঙ্গলে এসব প্রাণীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় পশু শিকার প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। বেঁচে থাকার তাগিদে সবাই পেশা বদল করেছেন। কৃষিজমিতে দিনমজুরের কাজ এখন তাদের প্রধান পেশা। পাশাপাশি কুঁচিয়া ও কচ্ছপ শিকার করে এদের অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করছেন। জলাশয়ে কচ্ছপও খুব একটা না থাকায় এটিও এখন বিলুপ্তির পথে। এখন শুধু কুঁচিয়া শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করছে ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর ৩৫-৪০টি পরিবার। অন্য পরিবারগুলো সবাই কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল।

মারমী গ্রামের দিলীপ বিশ্বাস বলেন, ১০ বছর কুঁচিয়া শিকার করছি। আগে নিজেরা খাওয়ার জন্য ধরতাম। এখন এটা পেশা হয়ে গেছে। কপাল ভালো হলে কোনো কোনো দিন ৭-৮ কেজি পর্যন্ত কুঁচিয়া ধরতে পারি। তিনি বলেন, ‘কুঁচিয়ার বাজারদর সব সময় এক থাকে না। প্রতি কেজি ১৬০-২০০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। করোনার আগে ২৫০ টাকা কেজি ছিল। এখন ২০০ টাকার বেশি দাম পাওয়া যায় না।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত