ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কেশবপুরে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে মাটি বিক্রির বাণিজ্য

কেশবপুরে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে মাটি বিক্রির বাণিজ্য

যশোরের কেশবপুরে মির্জানগর গ্রামে পুকুর খননের নামে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে লাখ লাখ টাকার বালু, মাটি বিক্রির রমরমা বাণিজ্য। গভীর করে বালু উত্তোলন করলে আশপাশের বসতবাড়ি ধসে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। খনন কাজ বন্ধে পুকুর পাড়ের বাসিন্দা কেষ্টপদ দে গত ১৫ মার্চ যশোর জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সাতবাড়িয়া-সরসকাঠি সড়কের পাশে মির্জানগর বালির মাঠ এলাকার বাসিন্দা প্রণব কুমার দে পুরাতন পুকুর পুনর্খননের জন্য গত ২৩ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেন। জেলা প্রশাসক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেশবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে নির্দেশ দেন। তিনি সরেজমিন তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সম্প্রতি প্রণব কুমার দে এলাকায় প্রচারণা চালান জেলা প্রশাসক তাকে পুকুর খননের অনুমতি দিয়েছেন। প্রণব কুমার দে মোটা অঙ্কের টাকায় পুকুরের মাটি বিক্রি করে দেন একই গ্রামের বালু, মাটি ব্যবসায়ী আবদুল জলিলের কাছে। তিনি স্কাভেটর মেশিন দিয়ে ১৪ মার্চ থেকে পুকুরের মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটাসহ বসতভিটা ভরাটের কাজে বিক্রির রমরমা বাণিজ্য করছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫/৭টি মাটিবাহী ট্রাক্টরে করে গ্রামীণ সড়ক দিয়ে বহন করা হচ্ছে মাটি। পুকুর মালিক সম্পূর্ণ গায়ের জোরে ১০/১২ ফুট গভীর করে মাটি কাটছেন। যে কারণে তার পরিবারসহ ভাঙন আতঙ্কে রাত্রিযাপন করছেন পুকুরের আশপাশের বাসিন্দারা। কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার কাছে। পুকুর মালিক প্রণব কুমার দে আবেদনে উল্লেখ করেছেন, দীর্ঘদিন খনন না হওয়ায় পাড়ের মাটি ধুয়ে পুকুরটি ভরাটের উপক্রম হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত