ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কমল আলুর দাম মণে ৮০-৯০ টাকা

কমল আলুর দাম মণে ৮০-৯০ টাকা

নওগাঁয় সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিমণে আলুর দাম কমেছে ৮০-৯০ টাকা। বাজারে সরবরাহ বেশি থাকায় আলুর দাম কমায় চিন্তিত চাষিরা। মণে ২ কেজি বেশি নেয়ায় সেই সঙ্গে চাষিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গত শুক্রবার কোলা হাটে গিয়ে দেখা যায়, দেশি আলুর মণ আকারে বড়টা ৮৯০-৯৪০ টাকা, দেশি বীজের ৯০০ টাকা, বীজের ছোটটা ৮২০ টাকা, কাটিনাল ৩৮০-৪০০ টাকা, ডায়মন্ড ২৫০-৩০০ টাকা এবং হলেন্ডার ৪০০-৪২০ টাকা মণ। শীতের মৌসুমে বিভিন্ন জাতের শাকসবজি বিক্রি হয়। শীত মৌসুম শেষে এখন আলুর বাজার শুরু হয়েছে। মাঘ থেকে চৈত্র এ তিনমাস জমজমাট আলুর বাজার হয়। এ হাটে প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার মণ আলু বেচাকেনা হয়।

বদলগাছী উপজেলার দুধকুড়ি গ্রামের আলু চাষি আব্দুল মতিন বলেন, এ বছর ৬ বিঘা জমিতে আলুর আবাদ করেছি। এর মধ্যে এক বিঘাতে ভুটান লাল আলু এবং পাঁচ বিঘা জমিতে দেশি জাতের। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ১৮-২০ হাজার টাকা। যেখানে ফলন হয়েছে ৬০-৭০ মণ। তবে কাটিনাল বা হলেন্ডার ফলনে বেশি হয় এবং খরচও বেশি। বিঘাপ্রতি প্রায় ৮০-৯০ মণ হয়ে থাকে। তবে দেশি আলুতে পরিশ্রম ও সময় কম লাগে। টাকার অঙ্কে দেখা যায় প্রায় সমান।

একই গ্রামের আলু চাষি ফেরদৌস সোনার বলেন, একই হাটে সকালে এক দাম বেলা একটু বাড়লে আরেক দাম। সকালে যদি মণে ৫০-৬০ টাকা বেশি হয় বেলা বাড়লে তা কমে যায়। ব্যবসায়ীদের একটা সিন্ডিকেট। সবজি হাটে বেশি আসলে দাম কমিয়ে দেয়। আবার কম পরিমাণে আসলে দাম কিছুটা বাড়িয়ে দেয়। চাষি গোলাম মোস্তাকিম বলেন, ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে ৪০ কেজির জায়গায় ৪২ কেজিতে মণ বিক্রি করতে আমরা বাধ্য হই। আবার তারা সিন্ডিকেট করে দাম কম বেশি করে। সপ্তাহের ব্যবধানে মণে ৮০-৯০ টাকা কমে গেছে। যেন দেখার কেউ নেই। হাটে ফসল বিক্রি করতে আসলে দাম পাই না। আমরা কৃষকরা সব সময়ই প্রতারিত হই। বারফলা গ্রামের আলু চাষি বিজয় কুমার মন্ডল বলেন, দুই বিঘা জমিতে ডায়মন্ড আলুর আবাদ করেছি। ব্যবসায়ীরা জমি থেকে আলু কিনছে। আমার আলুও কেনার কথা ছিল। কিন্তু এখন আর কিনছে না। ব্যবসায়ীরা বলছে, আলু রাখার (হিমাগারে) জায়গা নেই। এজন্য তারা দাম কমিয়ে দিয়েছে। বাড়িতে তো আলু রাখার জায়গা নেই। আলু নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। কোলা হাটের আলু ব্যবসায়ী মাসুদ রানা বলেন, এ হাটে ১০ জন সবজি ব্যবসায়ী আছে। প্রতি হাটে প্রায় ২ হাজার মণ আলু বেচাকেনা হয়। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ২-৩ ট্রাক আলু ঢাকা ও ময়মনসিংহসহ কয়েকটি জেলায় সরবরাহ করা হয়। প্রতি ট্রাকে প্রায় ৪ লাখ টাকার আলু থাকে। সে হিসেবে প্রতি হাটেই ১২-১৬ লাখ টাকার আলু বেচাকেনা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত