করোলা ও ধনেপাতার সেঞ্চুরি

প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো. মাসুদ রানা মনি, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর)

মাছ মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। শেষ কবে গরুর গোস্ত খেয়েছি মনে পড়ে না। আমাদের মতো গরিব মানুষ রমজানে কীভাবে রোজা রাখবেন? হোটেল বয়ের কাজ করে মাসে পাই ৭ হাজার টাকা। আমি দুয়েক বেলা হোটেলে ভালোমন্দ খেতে পারি, স্ত্রী ও সন্তানতো তা চোখে দেখে না। এভাবে কথাগুলো বলেন রামগঞ্জ তরকারির বাজারে তরকারি কিনতে আসা এক ক্রেতা।

গতকাল রোববার রামগঞ্জ কাঁচাবাজার গিয়ে দেখা যায়, কচুর লতি ১০০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৮০, পটল ৮০, চিচিঙ্গা ৫০, কুমড়া প্রতি কেজি ৩০, টমেটো ২৫, ঝিঙ্গা ৬০, কাঁচা মরিচ ৮০, বেগুন ৫০, পাতা কপি ৩০, করোলা ১০০, শশা ৫০, গাজর ৪০, বরবটি ৮০, ধনে পাতা ১০০, তেলাপিয়া মাছ ২৫০, বড় কাতল মাছ ৩৭০, গরুর গোস্ত হাড় ছাড়া ৮০০, হাড়সহ ৭৫০, ব্রয়লার মুরগি ২৫০ এবং কক মুরগী ৩৩০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কুচো চিংড়ি ৫০০ টাকা, মাঝারি মানের চিংড়ি মাছ ৭৫০ থেকে ৮০০, রুই মাছ ছোট ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

কয়েকজন পাইকারি ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, লাকসাম, কুমিল্লা, ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে যে মালামাল আসে, পাইকারি বাজারে চড়া দাম। আর কাঁচা মাল পঁচনশীল। বেশি দিন রাখারও সুযোগ নেই। বাজারে মালের দাম কমলে আমরাও কম দামে বিক্রি করি।