ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

ভোমরা বন্দরে পেঁয়াজ মজুত

প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

আসন্ন রমজান মাস ঘিরে বাজারে থাবা বসাচ্ছেন অতিরিক্ত মুনাফালোভীরা। এতে চোখেমুখে অন্ধকার দেখছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। রোজায় দ্রব্যমূল্যের ন্যায্য দাম নিশ্চিতের লক্ষ্যে অসাধু চক্রদের ঠেকাতে টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার। এজন্য সাতক্ষীরায় পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। আমদানিকারকদের কেউ বলছেন, তারা পেঁয়াজ মজুত করেননি। বাজারে ছাড়বেন। তবে গোডাউন ভর্তি ভারতীয় ও দেশি জাতের পেঁয়াজ মজুত রাখার প্রমাণ পান ভ্রাম্যমাণ আদালত। জানা যায়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের আমদানি উদ্ভিদ বা উদ্ভিদের পণ্য আমদানি পারমিটের সাভারে আইপির আবেদন করলে, সেই আইপির মেয়াদ দেয়া হচ্ছিল ১৫ মার্চ পর্যন্ত। অথচ নিয়ম অনুযায়ী স্বাভাবিকভাবে আইপির আবেদন করলে সেই আইপির মেয়াদ দেয়া হয় ৯০ থেকে ১২০ দিন। এছাড়া বিশেষ ক্ষেত্রে আবেদন করলে আইপির আরো বৃদ্ধি করা হয়। এ কারণে গত ১৫ মার্চ থেকে বন্ধ হয়েছে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি। এতে অস্থিরতা বাড়ে বন্দর এলাকার ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকদের মাঝে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুচরা বাজারে ভারতীয় প্রতি কেজি পেঁয়াজের ৪ থেকে ৬ টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এক কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। অন্যদিকে পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকায়। এদিকে গতকাল রোববার দিনভর ভোমরা স্থলবন্দরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল আমিন ফোর্স নিয়ে এই আদালত পরিচালনা করেন।

এ সময় তিনি বন্দর অভ্যন্তরে পেঁয়াজ আমদানিকারক, ডিলার, ব্যবসায়ী ও গোডাউনে মজুত রাখার অভিযোগে ভোমরা বন্দরের শুভ এন্টারপ্রাইজের মালিক বিকাশ চন্দ্রকে ১০ হাজার টাকা, রাফসান এন্টারপ্রাইজ মিজানুর রহমানকে ২৫ হাজার, এসআর এন্টারপ্রাইজের মালিক সাদ্দাম হোসেনকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া নিশি এন্টারপ্রাইজের মালিক খোরশেদ আলমের কাছ থেকে মুচলেকা নেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।