ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কেশবপুরের মাছ রপ্তানি করে ৮৫০ কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা

কেশবপুরের মাছ রপ্তানি করে ৮৫০ কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা

যশোরের কেশবপুরের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে মাছ রপ্তানি করে গত বছর আয় হয়েছে প্রায় ৭৫৭ কোটি টাকা। চলছি বছরে প্রায় ৮৫০ কোটি টাকার মাছ বিক্রি হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপজেলা মৎস্য অফিস। এ উপজেলার ঘের ও পুকুর থেকে উৎপাদিত মাছ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এবং বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে। এসব মাছ রপ্তানি করে এলাকার প্রায় সাড়ে ১১ হাজার মৎস্য চাষি অর্থনৈতিকভাবে বেশ স্বাবলম্বী হয়েছেন। মাছের খামারে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুরে ৪ হাজার ৬৫৮টি মাছের ঘের (খামার) রয়েছে। যার আয়তন প্রায় ৭ হাজার ৪৪৯ হেক্টর। এছাড়া পুকুর রয়েছে ৬ হাজার ৬৪০টি। যার আয়তন প্রায় ৬৯৮ হেক্টর। গত বছর এসব জলাশয় থেকে রুই, মৃগেল, কাতল, পাবদা, বাটা, সিলভার কার্প, গ্লাস কার্প, পাঙাস, তেলাপিয়া, টাকি, কৈ, শিং, বাইন, পুটিসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৩৩ হাজার ৮২০ মেট্রিক টন সাদা মাছ উৎপাদিত হয়েছিল। এছাড়া গলদা চিংড়ি ২ হাজার ১৮০ মেট্রিক টন ও বাগদা চিংড়ির উৎপাদন হয়েছে ২৪৫ মেট্রিক টন। অপরদিকে ২৭ জন মাছ চাষি ৫৪ হেক্টর আয়তনের জলাশয়ে ২ দশমিক ২২ কোটি পোনা উৎপাদন করেছেন। চলতি বছরে সাদা মাছ প্রায় ৩৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন, গলদা চিংড়ি ২ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন, বাগদা চিংড়ি ২৮০ মেট্রিক টন ও শুঁটকি ৫ মেট্রিক টন উৎপাদিত হতে পারে। কেশবপুর শহরের পাইকারি মৎস্য আড়ৎ, কাটাখালি ও পাঁজিয়া আড়তে নেওয়া হয় উৎপাদিত এসব মাছ। এছাড়াও এর বাইরে যশোরের বারোবাজার, মণিরামপুর, কপালিয়া, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর, আঠারো মাইলসহ বিভিন্ন আড়তে মাছ পাইকারি বিক্রি করা হয়ে থাকে। সেখান থেকে এসব মাছ ঢাকা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, বগুড়া, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ও ভারতে রপ্তানি করা হয়। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা এ উপজেলায় মাছ কিনতে আসেন। অপরদিকে স্থানীয়রা পাইকারি আড়ৎ থেকে মাছ কিনে খুচরা বাজারে বিক্রি করেন। কেশবপুর খুচরা মাছ বাজারের মাহাবুর রহমান জানান, আড়তের শ্রমিকদের মাধ্যমে মাছ বাজারজাতকরণের উপযোগী করে চাহিদা অনুযায়ী ট্রাকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত