ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শেরপুরে দশানী নদী

সেতুর অভাবে দুর্ভোগে ১৫ গ্রামের অর্ধলাখ মানুষ

সেতুর অভাবে দুর্ভোগে ১৫ গ্রামের অর্ধলাখ মানুষ

দশানী নদীর উপর একটি সেতুর অভাবে অসহনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন শেরপুর সদর উপজেলার কামারেরচর ও পার্শ্ববর্তী জামালপুরের ১৫ গ্রামের মানুষ। বছরের অর্ধেক সময় বাঁশের সাকো ও অর্ধেক সময় নৌকায় কৃষিপণ্য আনা নেয়াসহ প্রায় অর্ধ্ব লাখ মানুষকে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিবার ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না আজো। তাই ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেরপুর সদর উপজেলার থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণে কামারেরচর ইউনিয়ন ও জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার সীমান্তঘেঁষে বয়ে গেছে দশআনী নদী। দশানী নদীর উপর ব্রিজ না থাকায় শেরপুর সদর উপজেলার কামারের চরের ৬নং চর, ৬নং চর নতুনপাড়া, পশ্চিমপাড়া, উত্তরপাড়া, নয়াপাড়া, ভাটিপাড়া, উজানপাড়া, কামারপাড়া ও পার্শ্ববর্তী জামালপুরের ৪নং চর, আগরাখালী, বালুরচর, টুক্কারচর, টাবুরচরসহ ১৫ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ। ব্রক্ষপুত্র ও দশানী নদীর বন্যা থেকে রক্ষা করতে কামারের চর বাজার ঘেঁষে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দেয়ার ফলে জেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে কামারের চরের এ গ্রামগুলো।

এ গ্রামগুলোর ৫০ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ হচ্ছে দশানী নদীর উপর বাঁশের ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো। এ অঞ্চলের মানুষ শুকনো মৌসুমে শত কষ্ট স্বীকার করে চলাচল করলেও বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগের শেষ থাকে না। শুধু দুর্ভোগই নয় এ সময় অনেক ছাত্রছাত্রীর স্কুল ও কলেজে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত