শেরপুরে দশানী নদী

সেতুর অভাবে দুর্ভোগে ১৫ গ্রামের অর্ধলাখ মানুষ

প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আরএম সেলিম শাহী, ঝিনাইগাতী

দশানী নদীর উপর একটি সেতুর অভাবে অসহনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন শেরপুর সদর উপজেলার কামারেরচর ও পার্শ্ববর্তী জামালপুরের ১৫ গ্রামের মানুষ। বছরের অর্ধেক সময় বাঁশের সাকো ও অর্ধেক সময় নৌকায় কৃষিপণ্য আনা নেয়াসহ প্রায় অর্ধ্ব লাখ মানুষকে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিবার ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না আজো। তাই ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেরপুর সদর উপজেলার থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণে কামারেরচর ইউনিয়ন ও জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার সীমান্তঘেঁষে বয়ে গেছে দশআনী নদী। দশানী নদীর উপর ব্রিজ না থাকায় শেরপুর সদর উপজেলার কামারের চরের ৬নং চর, ৬নং চর নতুনপাড়া, পশ্চিমপাড়া, উত্তরপাড়া, নয়াপাড়া, ভাটিপাড়া, উজানপাড়া, কামারপাড়া ও পার্শ্ববর্তী জামালপুরের ৪নং চর, আগরাখালী, বালুরচর, টুক্কারচর, টাবুরচরসহ ১৫ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ। ব্রক্ষপুত্র ও দশানী নদীর বন্যা থেকে রক্ষা করতে কামারের চর বাজার ঘেঁষে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দেয়ার ফলে জেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে কামারের চরের এ গ্রামগুলো।

এ গ্রামগুলোর ৫০ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ হচ্ছে দশানী নদীর উপর বাঁশের ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো। এ অঞ্চলের মানুষ শুকনো মৌসুমে শত কষ্ট স্বীকার করে চলাচল করলেও বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগের শেষ থাকে না। শুধু দুর্ভোগই নয় এ সময় অনেক ছাত্রছাত্রীর স্কুল ও কলেজে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।