ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঈশ্বরদীতে লিচুর ফলন নিয়ে শঙ্কা

ঈশ্বরদীতে লিচুর ফলন নিয়ে শঙ্কা

সময় এখন লিচুর গাছে মুকুল আসার। কিন্তু মুকুলের পরিবর্তে গাছে গাছে এসেছে নতুন পাতা। মুকুল আসার এ সময়ে নতুন পাতার আগমন ভাবিয়ে তুলেছে ঈশ্বরদীর লিচু চাষিদের। কারণ মুকুলের পরিবর্তে নতুন পাতা আসলে লিচুর ফলন ভালো পাওয়া যাবে না। আর ফলন না পাওয়া গেলে বছরজুড়ে লিচু গাছে যে পরিচর্যা বাবদ খরচ তা তুলতে পারবেন না তারা। লিচুর মুকুল থেকে যে পরিমাণে মধু আহরণ হয় তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মধু খামারিরা। লিচু উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত পাবনার ঈশ্বরদীতে এবার লিচুর ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। মাত্র ৩০ থেকে ৪০ ভাগ গাছে মুকুল এসেছে। এরইমধ্যে লিচুর বাগান আগাম বেচাকেনা শুরু হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা লিচুর মুকুল দেখে বাগানের দাম হাঁকছেন। লিচু ব্যবসায়ীরা বলছেন, মুকুল কম ও বৈরি আবহাওয়ার কারণে ফলন নিয়ে শঙ্কা থাকলেও বাগান মালিকরা অন্যবারের তুলনায় এবার বাগানের দ্বিগুণ দাম হাঁকছেন। বাগান বেচাকেনা শুরু হলেও এখনও তেমন সাঁড়া মেলেনি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ বছর ঈশ্বরদীতে ৩ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে লিচু গাছে কাঙ্ক্ষিত মুকুল আসেনি। সঠিকভাবে লিচু বাগানের পরিচর্যা করতে না জানা ও প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সার-কীটনাশকের ব্যবহার মুকুল কম আসার অন্যতম কারণ।

গত রোববার সরেজমিনে ঈশ্বরদীর লিচুগ্রাম হিসেবে পরিচিত মানিকনগর, জয়নগর, মিরকামারি, আওতাপাড়া, বাঁশেরবাদা ও সাহাপুর গ্রামে ঢুকেই চোখে পড়ে সারি সারি লিচুর বাগান। লিচু গাছে এবার মুকুলের পরিমাণ খুবই কম। কৃষকদের অভিযোগ, যেখানে-সেখানে গড়ে ওঠা ইটভাটা ও কলকারখানার কারণে গাছে ছাই ও ময়লা জমছে। এছাড়া রাসায়নিকের প্রভাবের কারণেও মুকুল কম এসেছে বলে শঙ্কা তাদের। তারপরও লিচু চাষিরা বাগান পরিচর্যা, মুকুলে স্প্রে করছেন ও গাছের চারপাশে বাঁধ দিয়ে সেচের ব্যবস্থা করছেন। বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত কৃষক আব্দুল জলিল ওরফে লিচু কিতাব বলেন, আমাদের এলাকার শতকরা ৫ ভাগ লিচু চাষি বাগানের পরিচর্যার সঠিক নিয়ম জানেন না। সার-কীটনাশকের ব্যবহারের পাশাপাশি কোনো সময় লিচু গাছের পরিচর্যা করতে হয়- এগুলো সম্পর্কেও তেমন কোনো ধারণা নেই। সেজন্য অনেক গাছে মুকুল আসে না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত