সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার চাঞ্চল্যকর নারী নির্যাতনের মামলা থেকে বাঁচতে নিজে আত্মগোপনে থেকে মাকে দিয়ে প্রথম স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে অপহরণ মামলা করার আড়াই বছর পর ভিকটিম ফরহাদ খলিফাকে উদ্ধার করেছে সিআইডি পুলিশ। তিনি ওই উপজেলার গাবগাছী গ্রামের মৃত শের আলী খলিফার ছেলে। সিআইডির ইন্সপেক্টর ওহেদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, ২০২০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ফরহাদের মা সখিনা খাতুন বাদী হয়ে ছেলের প্রথম স্ত্রী সালমা খাতুন, তার মা ফরিদা বেগম ও ভাই মামুন খলিফাসহ অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। এ মামলায় বলা হয়েছে, ঘটনার দিন বিকালে শ্যামগাঁতী এলাকা থেকে সালমাসহ কয়েকজন ফরহাদ খলিফাকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। এ মামলা তদন্ত শেষে ভিকটিম উদ্ধার ছাড়াই সংশ্লিষ্ট আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন ওই সময়ের বেলকুচি থানার পুলিশ কর্মকর্র্তা। পরে বাদী আদালতে নারাজি দিলে বিচারক এ মামলা সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। এ নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল করিম মল্লিকের দিকনির্দেশনায় সিআইডি পুলিশের একটি টিম তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত করে এবং গত সোমবার গভীর রাতে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বীরদামপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের মৃত লিয়াকত আলীর মেয়ে পারভীন খাতুনকে দ্বিতীয় বিয়ে করে নরসুন্দরের (নাপিত) কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছিল। তার বিরুদ্ধে বেলকুচি থানায় একাধিক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে এবং প্রথম স্ত্রী ও তার পরিবারকে হয়রানি করতে আত্মগোপনে থেকে মাকে দিয়ে এ মিথ্যা অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়।
তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোনায়া থাকায় বেলকুচি থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।